বাজেট ২০১৭-১৮ আসছে ২০১০-১১ অর্থবছরের সমান ঘাটতি বাজেট
হাসান আরিফ : আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি হবে ২০১০-১১ অর্থ বছরের মূল বাজেটের সমান। আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১০ সালের ১০ জুন ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। আর আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি হতে পারে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে অর্থাৎ ৯২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ছিল। চলতি অর্থবছরের জিডিপি ১৯ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা (চলতি মূল্য)। কয়েক বছর ধরে বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হয় এবং অনুদানসহ হিসাব করলে এ ঘাটতি ৪ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে থাকে। আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ধরা হবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আর জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ধরা হবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার করা হবে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, আগামী বাজেটের আকার ৪ লাখ থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে হবে। এই হিসাব ঘাটতির হিসাবে কিছুটা তারতম্য হতে পারে। আসন্ন বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান আমলের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ৪ লাখ কোটি টাকার উপরে বিশাল এ বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৭১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এটি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ২৯ শতাংশ বেশি। আগামী অর্থবছরে সরকার ৪ লাখ কোটি টাকারও বেশি যে বাজেট দিতে চায়, তার সিংহভাগ জোগান দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস হবে ভ্যাট। অর্থাৎ জনগণের ওপর করের বোঝা আরও বাড়ছে। বিশেষ করে রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে সরকারের সবচেয়ে বড় টার্গেট হচ্ছে নতুন ভ্যাট আইন।
চলতি অর্থবছর বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে কর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। পরে অবশ্য সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। আর সংশোধিত বাজেটে এনবিআর কর রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ দশমিক ২ শতাংশ।