হাওরে দুর্যোগ : দায়িত্বে অবহেলাকারীদের শাস্তির দাবি সুলতানা কামালের
শাকিল আহমেদ : হাওড় অঞ্চলে দুর্যোগ মানবসৃষ্ট দুর্নীতি এবং দায়িত্ব অবহেলার কারণে ঘটেছে। এ বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাওরবাসীদের রক্ষায় দ্রুত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। হাওরের বন্যাকে মহাবিপর্যয় আখ্যা দিয়ে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি ১০টি দাবি তুলে ধরেছেন বিশিষ্টজনরা।
দাবিগুলো হলোÑ কেবল বোরো চাষের উপর নির্ভরশীল ২৪ লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তার নিশ্চয়তা দেয়া, সবার জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, সরকারি-বেসরকারি ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত করা, পানিবাহিত রোগের প্রকোপ ঠেকাতে পর্যাপ্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া, প্রবীণ নাগরিকদের সুস্থ রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
হাওরের সকল জলমহালের লিজ বাতিল করে উন্মুক্ত জলাশয়ে সকলের মাছ ধরার অধিকার দেয়ারও দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সেই সঙ্গে হাওরের পরিবেশ দূষণের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা, বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি হলে দায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা, স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ, প্রাকৃতিক মৎস্যক্ষেত্র সংরক্ষণসহ পরিবেশ অনুকূল উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। সুলতানা কামাল বলেন, হাওর এলাকায় বাঁধ নির্মাণে যে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় তার সম্পূর্ণ টাকা বাঁধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না। সেখানে নানা দুর্নীতি-অনাচার চলে। পানি উন্নয়নের যে ইঞ্জিনিয়াররা থাকে তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া উচিৎ কেন এই বিপর্যয় ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরউল্লাহ চৌধুরী, কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়–য়া। সম্পাদনা: এনামুল হক