২২ মামলায় আত্মসমর্পন করে জামিন পেলেন সেলিমা রহমান
মামুন খান ও সাবিহা সুলতানা : নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ২২ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান। গতকাল ঢাকা সিএমএম আদালত ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন সেলিমা রহমান। শুনানি শেষে ২২ মামলায় জামিন পান তিনি।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে পল্টন ও মুগদা থানার ৫ টি করে , মতিঝিল ও খিলগাঁও থানার ৪ টি, যাত্রাবাড়ি থানার ২ টি এবং লালবাগ ও গুলশান থানার একটি করে মামলা। ২২ মামলার মধ্যে ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে ১৪ মামলায় এবং ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে ৮ মামলায় জামিন নেন তিনি।
প্রথমে ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে যাত্রাবাড়ি থানার নাশকতার মামলায় জামিন নেন সেলিমা রহমান। ওই মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম তাকে জামিন দেন। এরপর লালবাগ থানার মামলায় মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম এবং গুলশান থানার মামলায় শেখ ছামিদুল ইসলাম তাকে জামিন দেন।
এরপর রাজধানীর মুগদা থানার ৩টি এবং খিলগাঁও থানার দুই মামলায় সেলিমা রহমানকে জামিন দেন গোলাম নবী। তারপর ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব পল্টন থানার ৪টি এবং মতিঝিল থানার ২ মামলায় জামিন দেন। ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ১৪ মামলায় জামিন নিয়ে সেলিমা রহমান যান ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন নিতে। সেখানে ঢাকার ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির তাকে খিলগাঁও, মতিঝিল এবং যাত্রাবাড়ি থানার একটি করে মামলায় জামিন দেন। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোসা. শামসুন্নাহার তাকে জামিন দেন মুগদা থানার একটি মামলায়। এরপর ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জাহিদুল কবির আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে জামিন দেন মতিঝিল থানার একটি মামলায়। ঢাকার ১ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাহিদুল কবির মুগদা থানার একটি মামলায় জামিন দেন। সর্বশেষ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা রাজধানীর খিলগাঁও এবং পল্টন থানার একটি করে মামলায় সেলিমা রহমানকে জামিন দেন। ২২ মামলায় জামিন নিয়ে আদালত থেকে বের হয়ে যান সেলিমা রহমান।
সেলিমা রহমানের পক্ষে জামিন শুনানি করে নিতাই রায় চৌধুরী, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার । শুনানিতে তারা বলেন, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। তিনি একজন অসুস্থ মহিলা। মামলার সব আসামি জামিনে রয়েছে। আমরা যে কোন শর্তে তার জামিনের প্রার্থণা করছি। সম্পাদনা: এনামুল হক