ইপিজেডে ভিন্ন নামে ট্রেড ইউনিয়ন করার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
হুমায়ুন কবির খোকন : ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহ বা অন্যান্য দেশের মতো ইপিজেড-এ ভিন্ন নামে ট্রেড ইউনিয়ন করার ব্যবস্থা করা যায় কি না সংশ্লিষ্টদের দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইপিজেড আইন নিয়ে কথা উঠলে এ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় ইপিজেড আইনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ইপিজেড-এ ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতি দেওয়া নিয়ে চাপ দিচ্ছেন সেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বা অন্যান্য দেশেও তো ট্রেড ইউনিয়ন নেই। যা আছে সেটা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বা অন্য নামে আছে। আপনারাও দেখেন অন্য নামে কিছু করা যায় কি না। সূত্র জানায়, সংসদের আগামী অধিবেশনে ইপিজেড আইন পাসের জন্য উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। তবে এই আইনটি আরও যাচাই-বাছাই করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতামতের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুপোযোগী করতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় ফেরত পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুœ। বিষয়টি তারা মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলেন। তখন ট্রেড ইউনিয়নের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের তৈরি পোশাক যদি তারা না নেয় তাহলে তারা পোশাক পাবে কোথায়? এটা নিয়ে এত চিন্তার কোনো কারণ নেই। বৈঠকে রানা প্লাজা ধসের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। আলোচনায় অংশ নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতরা পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছেন। আইএলও, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ-সহ সব মিলিয়ে ২৮৫ কোটি টাকা সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঝামেলামুক্ত ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফারের পথ সুগম করতে এবং কনজিউমারের প্রবেশ বৃদ্ধি ও দেশের ফ্রি লাঞ্চারের অর্থ সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা পেলল খুব শিগগির বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশে পেলল সাভির্স চালুর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত ২২ থেকে ২৪ মার্চ জার্মানিতে, ২৯ থেকে ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে এবং ২ থেকে ৪ এপ্রিল আর্জেন্টিনায় সফর করেন এবং এ সময় তিনি গুগল, ফেসবুক ও পেপল এর উচ্চপদস্থ নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব পেপল এর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, পেপল খুব শিগগিরই বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।
১৯৯৮ সালে ডিসেম্বরে পেপল চালুর পর থেকে ইতোমধ্যেই প্রায় ২০ কোটি একক ও ব্যবসায়িক পেমেন্ট ইলেক্ট্রনিকেলি ফান্ড ট্রান্সফার হয়েছে।
সারাবিশ্বে প্রায় দু’শতাধিক মার্কেটে পেপল সুবিধা রয়েছে। একাউন্ট হোল্ডাররা শতাধিক মুদ্র্রায় তাদের বিল পেয়েছে। ৫৬টি মুদ্র্রায় তহবিল তুলেছে। ২৫টি মুদ্রায় একাউন্টস ব্যালেন্স স্থগিত করেছে।