সরকারের ছাড় দেওয়ার নীতির ফল
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন
হেফাজত মনে করছে, সরকার দেরিতে হলেও তাদের কাছে পরাজিত হয়েছে। আমার মতে, সরকার হেফাজতের কাছে নতিস্বীকার করেেেছ এবং এটা ভোটের রাজনীতির একটা কৌশল অবলম্বনের কারণে। কিন্তু যে কারণে সরকার নতিস্বীকার করেছে তা কোনোদিনই বাস্তবায়িত হবে না। কারণ হেফাজত কোনোদিনই আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে না। সরকার ইসলামি দলগুলোকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। গত শুক্রবার চরমোনাইয়ের পীর বায়তুল মোকাররমে বিশাল সমাবেশ করলেন। কিন্তু বিএনপি কোনোদিনই সমাবেশের অনুমতি পায়নি। চরমোনাইয়ের পীর কেন সমাবেশ করার অনুমতি পেলেন? ভোটের রাজনীতির কারণেই যে সরকার এ ধরনের ছাড় দিতে শুরু করেছে তারই একটা পর্যায় কওমি মাদ্রাসার চূড়ান্ত ডিগ্রি স্বীকৃত হলো। এটা একটা একটা অপকৌশল। হেফাজত আবার যে কর্মসূচির আভাস দিচ্ছে এটা আসলে সরকারের ছাড় দেওয়ার নীতির কারণেই ঘটছে। সরকারের ছাড় দেওয়ার নীতিরই ফল এই আন্দোলনক হুমকি। সরকার রাজনৈতিক অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েই কজটি করছে তারা। সে জন্যই হেফাজত এ ধরনের উত্তেজক মন্তব্য করতে পারছে বলে আমি মনে করি। ৫ মে-এর মতো কোনোকিছু করার তো দরকার নেই। সরকার নিজেই তো হেফাজতের হেফাজত করছেন। তখন তো আন্দোলন ছিল সরকার বিরোধী, এখন তো সরকার ক্রমে ক্রমে তাদের সব দাবি মানছে। পাঠ্যপুস্তকে হেফাজতিকীকরণ হলো, কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দেওয়া হলো, চরমোনাই পীরের সমাবেশ হলো অর্থাৎ এ ধরনের গোষ্ঠীর সবকিছুই মেনে নিচ্ছে সরকার, সে জন্যই তারা এমনটা বলতে পারছে।
পরিচিতি: ইতিহাসবিদ
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি
সম্পাদনা: আশিক রহমান