হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি গণসংহতির
রফিক আহমেদ : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবদুস সালাম হাওরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই অঞ্চলকে দুর্গত অঞ্চল ঘোষণার দাবি জানান। গতকাল মঙ্গলবার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃদ্বয় এ কথা বলেন। গণসংহতির নেতৃদ্বয় বলেন, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়Ñ হাওরে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪৯ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবার। তাদের জন্য বরাদ্দ চালের দাম ও নগদ টাকা মিলিয়ে একত্র করলে যা দাঁড়ায় তাতে তা দুই কোটি টাকার মতো। অর্থাৎ পরিবার পিছু বরাদ্দ ৬০ টাকার মতো। অর্থাৎ এই সহায়তা নামমাত্র, এতে সমস্যার কণামাত্রও সমাধান হবে না।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, আমরা গভীর ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, যে কৃষকদের অপূরণীয় ক্ষতি হল সেই কৃষকরাই বাঁধ কেটে দিয়েছেন বলে ভুয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরই দায়ী করার চেষ্টা চলছে। এটা করা হচ্ছে মূলত দুর্নীতি আর অবহেলা আড়াল করার জন্য। আবার মন্ত্রিসভার এ বৈঠকে হাওর এলাকায় পানিতে ইউরেনিয়াম ও মাছের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে আলোচনায় ইউরেনিয়াম পাওয়া গেলে তো ভালো, ইউরেনিয়াম অনেক দামি, এটা সংগ্রহ করা যেতে পারে- এ বলে মন্ত্রীরা বৈঠকে হাসাহাসি করেন। খনি থেকে যেসব বিষাক্ত ভারি ধাতু আসে তার যথাযথ কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে, মৃত প্রাণীদের দেহের রাসায়নিক পরীক্ষা না করে এ ধরনের হাসাহাসি চরম দায়িত্বহীনতা ও মূর্খতার প্রকাশ। নেতৃদ্বয় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হাওরে এখনো দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে ব্যবস্থা গ্রহণের এই অনীহা যদি অব্যাহত থাকে, অস্বীকার যদি চলতে থাকে তাহলে তা হওয়াটা কোনো অস্বাভাবিক বিষয় হবে না। আর হাওরের এই ঘটনা এখানেই শেষ হচ্ছে না।