রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২০২০ সালেই বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে
হাসান আরিফ : রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াটের (প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াট) দু’টি ইউনিটের নির্মাণ কাজ চলছে। এখান থেকে ২০২০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণায় সূত্রে জানা গেছে।
এরই মধ্যে প্রকল্প এলাকা ঘিরে উঁচু বেস্টনী দেয়াল, ৫টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, অফিস, আবাসন, কর্মকর্তাদের ছোট আবাসন ও কেয়ারটেকারদের বাসস্থান নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনোদ ভ্যায়ার জানিয়েছেন, মোট ৯১৫ একরের মধ্যে ৪২০ একর জুড়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল কাজ ২০১৯-২০ অর্থবছরে সম্পন্ন হবে। হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড অব ইন্ডিয়া মূল প্ল্যান্ট নির্মাণ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, অবশিষ্ট জমিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের আবাসন, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার ও অন্যান্য অবকাঠামো থাকবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মূল প্লান্টের পশ্চিম পাশে পশুর নদীতে দু’টি পল্টুন ও জেটি স্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিদিন ১১ হাজার টন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যবহার হবে এবং এসব কয়লা ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হবে। প্রকল্পে ছয় শতাধিক মানুষ সরাসরি ও ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ পরোক্ষভাবে প্রকল্প থেকে লাভবান হবেন। স্থানীয়রা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ পাবেন বলেও জানা গেছে।
মৈত্রী সুপার বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে ২০১২ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও বিআইএফপিসিএল এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। প্রকল্পের জন্য বিপিডিবি ও ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) সমান ৫০ শতাংশ করে মালিকানায় থাকবে। এ প্রকল্পে ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ৭০ শতাংশ এক্সিম ব্যাংক ঋণ হিসেবে দেবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভেড়ামারা থেকে সুইচ টিপে ১৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।