আত্রাই নদীর বাঁধটা ছেড়ে দিন : বাংলাদেশের সরকারকে মমতা
সাজ্জাদুল হক : আত্রাই নদীতে বাঁধ দেয়ায় কারণে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পানি পাচ্ছে না, এমন অভিযোগ করে বাঁধ খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপ্যাধ্যায়। তবে নদী গবেষকরা বলছেন, আত্রাইয়ে কোন স্থায়ী বাঁধ নেই। এদিকে দু’দেশের অভিন্ন নদীর পানি বন্টনে যৌথ নদী কমিশনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিলেন পানি বিশ্লেষকরা।
মমতা বলেন, ‘আত্রাই নদীতে বাঁধ দিয়ে জল আটকিয়ে নেয়া হচ্ছে। আমি বাংলাদেশের বন্ধু সরকারকে অনুরোধ করবো- আত্রাই নদীর জলটা কেনো বাঁধ দিয়ে আটকাচ্ছেন? ওটা ছেড়ে দিন। আমাদের বালুরঘাটের লোকেরা জল পাচ্ছে না’।
মঙ্গলবার কোচবিচারে পিপলস পার্টির দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রীর আত্রাই নদী থেকে বাঁধ সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানায়। পাশাপাশি তিস্তায় পানি নেই , তাই বিকল্প নদী থেকে পানি নেবার প্রস্তাব আবারো দেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘তিস্তার জল দিলে শিলিগুড়ির মানুষ পানি পাবে না। আমরা বলেছি আপনারা বিকল্প পথ দেখুন’।
ভৌগলিক ভাবে আত্রাই এর উৎপত্তি স্থল পশ্চিমবাংলায়। যা দুবার বাংলাদেশকে অতিক্রম করে। প্রথমবার বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ও বালুরঘাট ব্লকের মধ্য দিয়ে আবারো বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং আবারো বাংলাদেশের বিহারীনগর হয়ে পতœীতলায় প্রবেশ করে। এদিকে নদী গবেষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বাংলাদেশে আত্রাই নদীতে কোন বাঁধ নেই।
তিস্তা নদীটি আগে পূর্বে করতোয়া, পশ্চিমে পূনর্ভবা ও মধ্যে আত্রাই এর মাধ্যমে প্রবাহিত হতো। ১৭৮৭ সালের ভয়াভয় ভূমিকম্পের পর আত্রাই নদীর সাথে তিস্তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তবে তিস্তাসহ দু’দেশের অভিন্ন নদীর পানি বন্টনে যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ এই বিশ্লেষকের।
এদিকে নীলফামারির তিস্তা নদীর উজানে ভরত জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমায় গজলডোবা বাধ নির্মাণ করে বাংলাদেশের স্বাভাবিক জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। তিস্তার মূল প্রবাহ ভারত প্রত্যাহার করে নেয়ায় ডালিয়া ব্যারেজে আসা পানির প্রবাহ প্রায় শূণ্য। এতে তিস্তাপাড়ের লাখ লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। -তথ্যসূত্র : সময় টিভি