শিল্পী সংকট মোকাবিলায় পরিচালক সমিতির নতুন মুখ সন্ধানের উদ্যোগ
ইমরুল শাহেদ : এফডিসির সহযোগিতায় পরিচালক সমিতি চলচ্চিত্রের শিল্পী সংকট মোকাবিলায় নতুন মুখের সন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে। পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন জানিয়েছেন, রোববার এফডিসির সঙ্গে তাদের বৈঠক আছে। সেটা শেষ করেই নতুন মুখের জন্য প্রচার চালানো শুরু হবে। এবার শুধু নায়ক ও নায়িকা নয়। সব ধরনের চরিত্রের জন্যই নতুন মুখ খোঁজা হবে। তিনি জানান, ঢাকার চলচ্চিত্রে এখন নির্ভরশীল কোনো তারকা নেই। কোনো তারকাই ব্যবসায়িক নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। তাই চলচ্চিত্র ব্যবসা দিনকে দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে।
বলতে গেলে চলচ্চিত্র শিল্প এখন তারকা শূন্য হয়ে পড়েছে। এক সময়ে এদেশের চলচ্চিত্রের রমরমা ভাব করে তুলেছিলেন অনেক খ্যাতিমান তারকা। তাদের মধ্য থেকে হঠাৎ বিচ্যুত হয়ে যান শাবানা, আলমগীর, জসীম এবং সালমান শাহ। নায়কের অভাবে ববিতাও অচল হয়ে পড়েন। ইলিয়াস কাঞ্চন তেমন একটা সক্রিয় না থাকার কারণে চম্পা এবং দিতিও টিকে থাকতে পারেননি। অনজু চলে যান ভারতে এবং রোজিনা ইংল্যান্ডে। শাবনাজ বিয়ে করে চলে যাওয়ার পর চলচ্চিত্রে আসেন মৌসুমী, শাবনূর, পপি এবং পূর্ণিমা। তারাও টিকে থাকতে পারেননি। মান্না নিজের মতো করে ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। তার আশপাশে কাউকে দাঁড়াতে দেননি। তিনি ছিলেন নতুন মুখের ফসল। নতুন মুখের আরো ছিলেন দিতি ও অমিত হাসান। পরিচালক সমিতির এবারের উদ্যোগ হলো চতুর্থ বারের মতো।
সমস্যা হলো বিভিন্ন প্রযোজনা ও পরিবেশনা সূত্রে এখন যারা নতুন আসছেন তারা কেউ তেমনভাবে নির্ভরশীল তারকা হয়ে উঠতে পারছেন না। প্রযোজক-পরিবেশক দেওয়ান নাজমুল বলেন, অপু বিশ্বাস নায়িকা হিসেবে আর দৃশ্যপটে ফিরে আসতে পারবেন না। বুবলীকে তারকা বলা যায় না। তিনি যেমন নীরবে এসেছেন তেমনি নীরবে চলেও যাবেন। এছাড়া শাকিব অপুর ঘটনায় তিনি হয়ে গেছেন খল-নায়িকা। তিনি সেই খোলস থেকে বের হতে পারবেন না। বের হলেও একক নায়িকা হিসেবে তার কোনো ইমেইজ নেই। তিনি একক নায়িকা হিসেবে নিজের ইমেইজ গড়ার চাইতে শাকিবের নায়িকা হয়ে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সুতরাং শাকিব না থাকলে বুবলীও নেই, এমনটাই ধরে নিতে হবে।
পরিচালক সমিতির মহাসচিব বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণেই পরিচালক সমিতির বর্তমান উদ্যোগ। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা আচার্য্য