সদরঘাটে দুই লঞ্চের মাঝে পড়ে বৃদ্ধ, পৃথকসড়ক দুর্ঘটনা ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চারজন নিহত
আহমেদ মুন্নি : সদরঘাটে দুই লঞ্চের মাঝে পড়ে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এচাড়া পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় তিনজন ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। পৃথক ঘটনায় নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ছেলে সিদ্দিক পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীতে। এছাড়া নাতিদেরকেও দেখার আগ্রহ জন্মে পয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ শাহজাহান আলীর। গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। কর্ম ব্যস্ততার কারণে ছেলেও গ্রামে যাননি বেশ কয়েক মাস। তাই ছেলে, ছেলের বউ আর নাতিদের দেখতে গ্রাম থেকে লঞ্চ যোগে ঢাকায় আসছিলেন তিনি। রীতিমত সকালে লঞ্চ পৌঁছায় সদরঘাটে। লঞ্চ থেকে নামার সময় আরেকটি লঞ্চের চাপায় গুরুতর আহত হন শাহজাহান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল সকালে সদরঘাট টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে গতকাল সকালে রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। তারা হলো- শ্যামপুরে ট্রাকচাপায় শমসের আলী (৪০) ও আবদুস সালাম (৫০)। শমসের নিজেও ট্রাকচালক আর সালাম তার সহকারী ছিলেন। এ ঘটনায় আহত শাহ আলমকে (৩৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া নয়া পল্টনে হিমাচল পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় জসীম উদ্দীন (৫০) নামে এক ব্যবসায়ী এবং লালবাগে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জুয়েল (২৬) এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে মৃত শাহজাহানের ছেলে সিদ্দিক জানান,ভোলা থেকে সালাউদ্দীন লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাটের টার্মিনালে ভীড়লে যে যার মতো লঞ্চ থেকে নেমে যায়। এ সময় বাবাও নামছিলেন। ঠিক ওই মূহুর্তে আরেকটি লঞ্চের চাপায় গুরুতর আহত হন তিনি। তাৎক্ষণাৎ আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি মিডফোর্টে ছুটে আসি। সেখান থেকে বাবাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা মারা যায়। সিদ্দিক জানান, তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকেন। তাদের দেখার জন্যই তার বাবা ঢাকা এসেছেন। ঢামেক মর্গে এসব কথা বলতে বলতে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন সিদ্দিক।