বিভ্রান্তিতে বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি প্রবিধানমালা
ড. এম শামসুল আলম
লেখক: জ্বালানি বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩-এর ৪০(১) ধারা মতে, লাইসেন্সিদের মধ্যে অথবা লাইসেন্সি ও ভোক্তাদের মধ্যে উদ্ভূত যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্ব কমিশনের। ৪০(২) ধারা মতে, সে বিরোধ কমিশন সালিসকারী হিসেবে স্বীয় উদ্যোগে নিষ্পত্তি করতে পারে অথবা সালিসকারী নিয়োগ দিতে পারে। তবে ৪০(৩) ধারা মতে, বিরোধ নিষ্পত্তির নিয়ম ও পদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হতে হবে। ১২ মার্চ, ২০১৭ তারিখের ১১১১ নং পত্রে ‘বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি প্রবিধানমালা ২০১৭’-এর খসড়ার উপর কমিশন বিভিন্ন পক্ষগণের মতামত চেয়েছে। ক্যাব সে পক্ষগণভুক্ত।
দুই. ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি তারিখে সরকারি গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে ‘বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি প্রবিধানমালা ২০১৪ কার্যকর করা হয়। পরবর্তীতে এ প্রবিধানমালা সংশোধনক্রমে ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল তারিখে সরকারি গেজেটে প্রকাশ করে কার্যকর করা হয়। অতঃপর উক্ত সংশোধিত প্রবিধানমালাটি অধিকতর সংশোধন ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে ‘বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি প্রবিধানমালা, ২০১৭’ প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত প্রবিধানমালার খসড়ার ওপর সকল পক্ষগণের মতামত/পরামর্শ/আপত্তি প্রাপ্তির লক্ষ্যে খসড়াটি কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
তিন. ‘বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি (সংশোধিত) প্রবিধানমালা, ২০১৬’ মতে বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানসহ ৩ সদস্য নিয়ে ২০১৬ সালে গঠিত হয়। জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে কার্যক্রম শুরু করে। বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল ২৩ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে কমিশনের চেয়ারম্যানের নিকট একটি নথি পেশ করে। সে নথির ১ম পৃষ্ঠার ৫নং অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিচারিক কার্যক্রমে আইন বা প্রবিধানমালার বিধানবলি প্রতিপালনে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে কিংবা আইন/প্রবিধানমালার কোনো বিধান লংঘিত হলে কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত/রায় অবৈধ ঘোষিত হতে পারে।’ ওই নথির ২য় পৃষ্ঠার ৭নং অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘কমিশনের ‘জুডিশিয়াল উইং’ হিসেবে বিইআরসি ট্রাইব্যুনালের আইনের আওতায় কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল তার উপর অর্পিত দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’ ৮নং অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘… বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিচারিক প্রক্রিয়ায় আইনের সুস্পষ্ট বিধান প্রতিপালন করা হচ্ছে না। প্রায় সকল ক্ষেত্রেই আইনের বিধান আংশিকভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে।’ ৯নং অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘যে সকল বিরোধ/মামলায় আইনের সুস্পষ্ট বিধান প্রতিপালন করা হচ্ছে না, ওই সকল মামলার প্রত্যেকটি উচ্চতর আদালতে আইনি বৈধতার প্রশ্নে অবৈধ ঘোষিত হতে পারে।’ চার. তাছাড়াও ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর তারিখে বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল কমিশনের চেয়ারম্যানের নিকট অপর একটি নথি পেশ করে। এ নথির ২য় পৃষ্ঠার ৮নং অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘প্রবিধানমালার ৪এ অনুযায়ী কমিশন কর্তৃক বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল-এর কাছে বিরোধ প্রেরণের বিষয়টি একটি আইনি বাধ্যবাধকতা এবং এটি কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের বিষয় নয়, …।’ ৯নং অনুচ্ছেদে বলা হয় ‘প্রবিধানমালার স্পিরিট অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে কমিশনের সমন্বয় সভার আইনি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ ১০নং অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘…. বিইআরসি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের প্রতি আইন অনুযায়ী কমিশনের যে দায়িত্বপালন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, কমিশন সেটি প্রতিপালন না করলেও আইন লংঘনের কারণে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া এটি কমিশনের জন্য বিব্রতকর হতে পারে।’
পাঁচ. উক্ত দুটি নথিতে বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক উত্থাপিত বিরোধ/সমস্যা কমিশনের চেয়ারম্যান নিম্নে বর্ণিত সিদ্ধান্ত/আদেশ নথিতে লিপিবদ্ধ করে নিষ্পত্তি করেন: (ক) ‘ইঊজঈ উরংঢ়ঁঃব ঝবঃঃষবসবহঃ (অসসবহফসবহঃ) জবমঁষধঃরড়হ, ২০১৬’-এর ৩এ এবং ৩বি ধারা বিইআরসি আইনের ৪০ ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল ও তার কার্যক্রম এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনি। (খ) বিইআরসি আইনের ৪০ ধারায় বর্ণিত বিধানমতে কমিশন নিজেই সালিসকারী। বিরোধ নিষ্পত্তিতে কমিশন সালিসকারীর ভূমিকা পালন করছে। (গ) বিইআরসি ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে কমিশনের আলাপ করা বা মতামত গ্রহণ করা কমিশনের জন্য আবশ্যক নয়। বর্তমানে বিইআরসি আইন অনুযায়ী কমিশন বিরোধ নিষ্পত্তি করছে, তা অব্যাহত থাকবে। (ঘ) যেহেতু বিইআরসি আইনমতে কমিশন নিজেই বিরোধ নিষ্পত্তি করছে, সেহেতু বর্ণিত জটিলতা পরিহারের জন্য ট্রাইব্যুনালের নিকট পেন্ডিং থাকা মামলা সালিসকারী হিসেবে কমিশন নিজেই নিষ্পত্তি করতে পারে।
ছয়. উক্ত আদেশে প্রতীয়মান হয়, বিইআরসি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম মূলত স্থগিত রয়েছে। ‘বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি প্রবিধানমালা ২০১৪’-এর আওতায় বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রম চলছে। অতঃপর সংশোধিত প্রবিধানমালা ২০১৬-এর সংশোধনীর আইনি বৈধতা এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তাই উক্ত সংশোধিত প্রবিধানমালা পুনঃসংশোধনী আবশ্যক। এই বিবেচনায় ‘বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি প্রবিধানমালা, ২০১৭’ প্রস্তাব করা হয়েছে।
সাত. ‘বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি প্রবিধানমালা, ২০১৪’-এর ১২ ধারায় সালিসি (আর্বিট্রাল) ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং সালিসকারী (আরবিট্রেটর) নিয়োগ বিধান রয়েছে। সে বিধান মতে সালিসি ট্রাইব্যুনালে বিজোড় সংখ্যক সালিসকারী থাকবেন। তারা কমিশন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। সালিসকারী একাধিক হলে তাদের একজন সে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হবেন। সালিসকারী হতে পারেন কমিশনের সদস্য, কর্মকর্তা বা অন্য যেকোনো ব্যক্তি, যিনি একজন সালিসকারী হিসেবে কমিশনের নিকট যোগ্য ও উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। তবে সালিসকারীর সংখ্যা তিন বা তিনের অধিক হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সালিসকারী হবেন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের। তাদের মধ্যে কমপক্ষে একজন হবেন কমিশনের সদস্য কিংবা কর্মকর্তা এবং কমপক্ষে একজন হবেন বিরোধ বিষয়ে বিশেষায়িত কারিগরি বিশেষজ্ঞ। তবে প্রবিধানের ১২(৪) ধারা মতে কোনো সালিসকারীর নিয়োগের ব্যাপারে তার নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার প্রশ্নে যদি যৌক্তিক সন্দেহ থাকে তাহলে যেকোনো পক্ষ কমিশনের নিকট আপত্তি দাখিল করতে পারবে। পরীক্ষান্তে কমিশন সে আপত্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখান করে চূড়ান্ত আদেশ দেবেন। ১৫(৫) ধারা মতে গৃহীত সালিসী কার্যক্রমের অধীনে শুনানিকালে বিরোধ সংশ্লিষ্ট কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করতে পারেন।
আট. বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি (সংশোধিত) প্রবিধানমালা, ২০১৬-এর আওতায় যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: (ক) ৩এ ধারা নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে। তাতে বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রয়েছে। ফলে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিসকারী হিসেবে সালিসী ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি ‘বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল’ সৃষ্টি হলো। (খ) এর চেয়ারম্যান নিয়োগের বিধান রয়েছে নতুন সংযোজিত ৩এ(২)(৩) উপ-ধারায়। এ-বিধান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যক্তি বিশেষের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রেখে কেবলমাত্র তাকেই এই পদে নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এমন বিধান ও প্রবিধান সংশোধনী। কেবলমাত্র তাকে না পেলেই এ পদে অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে এই পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধি দ্বারা প্রতিযোগিতাহীন করা হয়েছে। (গ) সংশোধনীর ৩এ(৩) ধারা মতে বিইআরসি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ কমিশন কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশক্রমে কমিশন দ্বারা ৩ বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। তারা পুনঃনিয়োগযোগ্য। (ঘ) তাদের পদ ও নিয়োগ ংঁনংঃধহঃরাব নয় বিধায় তারা বিইআরসির বসঢ়ষড়ুবব হিসেবে গণ্য হবেন না। ফলে তারা বেতন নয়, সম্মানী পাবেন। সে সম্মনী তাদের অতীত চাকরির বেতন বিবেচনাক্রমে নির্ধারিত হবে। (ঙ) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কমিশন ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ গঠন করবেন। (চ) ৩বি ধারা মতে বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল বিইআরসির ‘জুডিশিয়াল উইং’। (ছ) ৪এ ধারা মতে যেকোনো বিরোধ বিইআরসি ট্রাইব্যুনালে পাঠাতে হবে।
নয়. ‘প্রস্তাবিত বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি প্রবিধানমালা, ২০১৭’-এর আওতায় প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: (ক) এই প্রবিধানমালার ৪(১) উপ-ধারা মতে, চেয়ারম্যানসহ ৭ সদস্যের পরিবর্তে ৩ সদস্য নিয়ে বিইআারসি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে। কারিগরি সদস্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকের পরিবর্তে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (খ) ৪(১১) উপ-ধারা মতে তাদের পদ ও নিয়োগ ংঁনংঃধহঃরাব হবে। বেতন বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। (গ) বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল ছাড়াও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কমিশন ১৪ ধারা মতে, এক বা একাধিক সালিসকরী নিয়োগ দিতে পারবে। একাধিক সালিসকারী হলে তাদের একজন প্রধান সালিসকারী হবেন। (ঘ) সিডিউল-বি বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমের মূল্যভিত্তিক ‘মাসুল’ এর তালিকা।
দশ. প্রস্তাবিত প্রবিধানমালা ২০১৭-এর আওতায় আনীত পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম: ১. বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল হবে ৭ জনের পরিবর্তে ৩ জনের। ২. তারা সম্মানী নয়, বেতন পাবেন। ৩. সালিসী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের পদের নাম পরিবর্তন হয়ে হবে প্রধান আরবিট্রেটর। কারিগরি সালিসকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক নয়, স্নাতকোত্তর। ৪. প্রবিধান দ্বারা বিরোধভিত্তিক সালিসী মাসুল নির্ধারিত হবে। অথচ প্রস্তাবিত প্রবিধানমালা বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল ও বিইআরসি (কমিশন)-এর মধ্যে উদ্ভূত বিরোধ নিষ্পত্তিতে অকার্যকর। বরং এ প্রবিধানমালা বাস্তবায়িত হলে বৈষম্য ও জটিলতা বাড়বে। কমিশনের আইনি কর্তৃত্ব আরও বেশি হুমকির সম্মুখীন হবে।
এগার. পর্যালোচনায় দেখা যায, বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল সৃষ্টি করে এর চেয়ারম্যানকে বিশেষভাবে ক্ষমতায়ন করার প্রয়োজন কমিশনের ছিল। তাই বিইআরসি বিরোধ নিষ্পত্তি (সংশোধিত) প্রবিধানমালা, ২০১৬ কার্যকর করা হয়। নবগঠিত কমিশন যদি তা যৌক্তিক ও বিইআরসি আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে গণ্য করে, তাহলে কমিশনের ভূতপূর্ব চেয়ারম্যানের প্রদত্ত সিদ্ধান্ত/আদেশ প্রথমে প্রত্যাহার করে কমিশনের বিরুদ্ধে আনীত বিইআরসি ট্রাইব্যুনালের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে। তারপর প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর যৌক্তিকতা পর্যালোচনায় আসতে পারে। আর যদি কমিশনের বিবেচনায় আসে যে, ভূতপূর্ব চেয়ারম্যানের প্রদত্ত সিদ্ধান্ত/আদেশ যৌক্তিক এবং তা আইনগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত, তাহলে ২০১৪ সালে কার্যকর হওয়া প্রবিধানমালায় আনীত সংশোধনীগুলো কমিশনকে বাতিল করে আদি প্রবিধানমালা ২০১৪ কার্যকর করতে হবে। তাতে বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত হবে এবং বিইআরসি ট্রাইব্যুনালের আনীত অভিযোগও নিষ্পত্তি হবে। তখন অধিকতর সংশোধন ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রবিধানমালা ২০১৪-এর সংশোধনী প্রস্তাব আসতে পারে।
বার. প্রস্তাবিত প্রবিধানমালায় মূলত: মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল গঠন, ক্ষমতা এবং এর চেয়ারম্যান নিয়োগের বিধানাবলিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অর্থাৎ সংশোধিত প্রবিধানমালা ২০১৬-এর ৩এ, ৩বি ও ৪এ ধারাসমূহে বর্ণিত বিধানাবলি অক্ষুণœ রয়েছে। ফলে বিইআরসি ট্রাইব্যুনাল ও কমিশনের মধ্যে উদ্ভূত বিরোধ নিষ্পত্তি এখন অনিশ্চিত। যেসব কারণে সংশোধিত প্রবিধানমালা ২০১৬ কার্যত অচল, সেই সব কারণেই প্রস্তাবিত প্রবিধানমালা ২০১৭ অচল হতে বাধ্য।