বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দুশ্চিন্তায় দিনাজপুরের কৃষকরা
এম রুহুল আমিন প্রধান, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) : দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে নেক ব্লাস্ট ও পাতা পোড়া রোগ দেখা দেয়ায় হাজার হাজার হেক্টর জমির ইরি-বোরো ধান শুকিয়ে যা”েছ। ধানের শীষের গোড়ায় বাদামী ধরনের দাগ পড়ছে। ফলে ধান পুষ্ট হওয়ার আগেই চিটা হয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো ফল পাওয়া যাচেছ না। এতে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়ছেন। একই সাথে উৎপাদন আশানুরূপ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। প্রবল বর্ষণ, উচ্চ তাপমাত্রার আদ্রর্তা, দিনে গরম রাতে ঠান্ডা এবং ভোরে শিশির পড়া এ রোগের প্রধান কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, ফুলবাড়ি উপজেলায় ব্রি-২৮ ধানে দেখা দিয়েছে এ রোগ। এর কারণে নি¤œ বিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কৃষকেরা পড়েছে বিপাকে। কৃষকেরা অভিযোগ করে জানান, এলাকায় বালাই নাশক ডিলার ও বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ প্রয়োগ করায় ফসলে ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা আগাম আমন ধানে যেন এ রোগ দেখা না দেয় সে লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ব্যাপক কাজ করতে হবে। এদিকে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আশুড়ার বিলে হরিপুর, রসুলপুর, খটখটিয়া কৃষ্ণপুর, বাঁশটেক, কামালপুর, এলাকায় অতিবর্ষণ আর কয়লার খনির পানিতে ভরে গেছে আশুড়ার বিল। এর কারণে ২ হাজার বিঘা বোরো ধান পানির নিচে পড়েছে। ইতোমধ্যেই ওই বিলের পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা আধা কাঁচাপাকা ধান কাটা শুরু করেছে। উপজেলার গোলাপগঞ্জ, বিনোদনগর, জয়পুর, মাহমুদপুর, পুটিমারা, কুশদহ, শালখুরিয়া ইউনিয়নে কিছু কিছু জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলা সদরে কৃষক সেকেন্দার আলী, হরিপুরের আশরাফুল ইসলাম, শওগুনখোলা গ্রামের সাইদুল ইসলাম সহ অনেকে জানান, এই রোগের কারণে বোরো ধানের ফলন আশাতীত হবে না। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২.২ হেক্টর জমিতে ক্ষতি হয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে এবার বোরো ধানক্ষেতে ব্যাপকহারে নেক ব্লাস্ট ও খোলপচা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।সম্পাদনা: মুরাদ হ াসান