দীর্ঘ ৮ বছর পর জাতিসংঘ খ্রিস্টান নিপীড়ন বিরোধী চ্যারিটির সনাক্তকরণ
ড্যাকলিন রোজারিও
খ্রিস্টান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড যুক্তরাজ্য এর একটি অন্যতম নিপীড়ন বিরোধী সংগঠন যা দীর্ঘ প্রতীক্ষাকরণের পর জাতিসংঘের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। সংস্থাটি লন্ডনে অবস্থিত এবং বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টানদের সুরক্ষার প্রচারাভিযানের জন্য অনুমোদন গ্রহণের আশায় আট বছর ধরে অপেক্ষা করছিল। প্রধান নির্বাহী মারভিন টমাস জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। তিনি বলেন, ‘এটা সি এস ডাব্লিউ এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। জাতিসংঘের অনুমোদন আমাদের স্বাধীনতার সাথে ধর্ম বা বিশ্বাসের প্রচারের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে’।
সি এস ডব্লিউ অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্তটি আপিলের ওপর ভিত্তি করে এসেছিল। এর আগে একটি আবেদনকে অস্বীকার করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। যার কারণে দীর্ঘ আট বছরের সময়কে অনুসরণ করতে হয়। এ পি রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতিসংঘের সাথে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মামলাটি লড়তে প্রস্তুত ছিলেন। ম্যাথিউ রিক্রফট বলেছিলেন, ‘বিশেষ করে এনজিওর বিরুদ্ধে মানবাধিকারের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ হয়েছে’। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ৫৪টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে ২৯টি সি এস ডব্লিউ এর স্বীকৃতি অনুমোদনের পক্ষে ভোট দেয়, যার মধ্যে ১২জন ভোটাধিকার এবং নয়টি ভোট বিরুদ্ধে থাকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সিএসডব্লিউ খ্রিস্টানদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে, পাকিস্তান, চীন ও কিউবার মতো দেশের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এটা খ্রিস্টানদের দুর্দশার প্রতি যুক্তরাজ্যের গির্জার মধ্যে সচেতনতা জোরদার করতে কাজ করে। প্রচার কর্ম ওয়েস্টমিনস্টারের মাধ্যমে সংঘটিত হয়, কিন্তু নিউইয়র্কেও জাতিসংঘের এমন অন্যান্য গ্রুপ আছে যারা ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য কাজ করে। মর্ভিন টমাস আরও বলেন, ‘আজকের ভোটের ফলাফল নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হলেও, এনজিও কমিটির মানবাধিকার সংগঠনের প্রয়োজনের বার্ষিক প্রতিবন্ধকতা এবং প্রত্যাখ্যানের প্রবণতা সম্পর্কের প্রশ্নও এখানে উত্থাপিত হয়’।
সূত্র : খ্রিস্টান টুডে