নগ্নতা কখনই খ্রিস্টীয় সংস্কৃতি নয়
জনসন সরকার
প্রভু যীশু খ্রিস্টের পুনরুত্থানের প্রথম সাক্ষী ছিলেন একজন নারী। খ্রিস্টিয়ান নারীরা বিশ্বে অন্য ধর্মের নারীদের তুলনায় শিক্ষায় জ্ঞানে অনেক এগিয়ে। যা সত্যই প্রশংসার বিষয়। কিন্তু আজকের খ্রিস্টিয়ান নারীরাই বেশি পথভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর শুধুমাত্র আমাদের দেশের বহু নারী অন্য ধর্মের লোকেদের সাথে বিবাহ করছে এবং প্রভু যীশুকে ত্যাগ করে অন্য কাউকে নিজের প্রভু বলে বিশ্বাস করছে, যা সত্যই লজ্জার বিষয়। এর জন্য প্রধান কারন হলো প্রকৃত ধর্ম শিক্ষার অভাব। খ্রিস্টিয়ান নারীরা মনে করে ইউরোপিয়ান কালচার হলো খ্রিস্টিয়ানদের আসল কালচার। কিন্তু এই ধরনাটি সম্পূর্ন ভুল। কারন প্রভু যীশু ইউরোপিয়ান ছিলেন না। নগ্নতা কখনই খ্রিস্টিয়ান কালচার নয়। এবারে দেখি পবিত্র বাইবেল এই বিষয়ে কি বলে?
‘স্ত্রীলোক কখনই পুরুষদের পোশাক পরবে না এবং পুরুষ কখনই স্ত্রীলোকদের পোশাক পরবে না। যে কেউ এই কাজ করে সে প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের কাছে ঘৃণার পাত্র।’ (দ্বিতীয় বিবরণ ২২; ৫;)
কিন্তু আজকের যুগে প্রায় অনেক নারী ঈশ্বরের নিয়ম ভঙ্গ করছে। নারীদের আর পুরুষদের শারিরিক গঠন এক নয় যে তারা একই ধরনের পোষাক ব্যবহার করবে! তাইতো মেয়েদের জন্য এবং ছেলেদের জন্য আলাদা পোষাক রয়েছে। আবার দেখা যায়, খ্রিস্টিয়ান নারীরা মাথায় কাপড় ব্যবহার করেনা। এমনকি গির্জা ঘরেও না। আমার দেখা কিছু মেয়ে তো পবিত্র বাইবেল পাঠের সময়ও মাথায় কাপড় দেয় না। এবারে দেখি পবিত্র বাইবেল এই বিষয়ে কি বলে?
‘কিন্তু যে স্ত্রীলোক মাথা না ঢেকে প্রার্থনা করে বা ভাববানী বলে, সে তার নিজের মাথার অপমান করে, সে মাথা মোড়ানো স্ত্রীলোকের মত হয়ে পড়ে, স্ত্রীলোক যদি তার মাথা না ঢাকে তবে তার চুল কেটে ফেলাই উচিত কিন্তু চুল কেটে ফেলা বা মাথা নেড়া করা যদি স্ত্রীলোকের পক্ষে লজ্জার বিষয় হয়, তবে সে তার মাথা ঢেকে রাখুক’ (১করিন্থিয় ১১: ৫-৬ পদ)
‘কিন্তু স্ত্রীলোকের লম্বা চুল তার গৌরবের বিষয় কারণ সেই লম্বা চুল তার মাথা ঢেকে রাখার জন্য তাকে দেওয়া হয়েছে’ (১করিন্থিয় ১১;১৫; পদ)
বাইবেল পরিস্কার ভাবে বলছে, খ্রিস্টিয়ান নারীরা অবস্যই যেন মাথায় কাপড় ব্যবহার করে। কারন এইটা খ্রিস্টিয়ান নারীদের কালচার। প্রেরিত পল এই বিষয়ে বলেন, ‘ভাই ও বোনেরা আমার মিনতি এই, ঈশ্বর আমাদের প্রতি দয়া করেছেন বলে তোমাদের জীবন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জীবিত বলিরূপে উৎস্বর্গ কর, তা তাঁর কাছে পবিত্র প্রীতিজনক হোক ঈশ্বরের উপাসনা করার জন্য তোমাদের কাছে এ এক আত্মিক উপায় এই জগতের লোকদের মতো নিজেদের চলতে দিও না, বরং নতুন চিন্তাধারায় নিজেদের পরিবর্তন কর; যেন বুঝতে পার ঈশ্বর কি চান, কোনটা ভাল, কোনটা তাঁকে খুশী করে ও কোনটা সিদ্ধ’ (রোমীয় ১২: ১-২ পদ)। আমাদের জাগতিক চিন্তা না করে বরং আধ্যাতিক ভাবে সব কিছু বিচার করে দেখতে হবে। আমাদের দেখতে হবে ঈশ্বরের চোখে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। কি, তিনি পছন্দ করেন আর কি, তিনি অপছন্দ করেন। ঈশ্বরকে খুসি করতে হলে অবস্যই আমাদের তার নিয়ম পালন করতে হবে। ‘সেই স্বর্গীয় বিষয় সকলের কথা ভাব, যে সকল বিষয়বস্তু জগতে আছে সেগুলির বিষয় নয়’ (কলসীয় ৩:২ পদ)। তাই খ্রিস্টিয়ান নারীদের এইটা চিন্তা করা উচিত, ‘রূপলাবণ্য তোমাকে লোকদের সামনে ঠকাতে পারে। কিন্তু যে স্ত্রীলোক প্রভুকে শ্রদ্ধা করে তাকে অবশ্যই প্রশংসা করা উচিত।’ (হিতপদেশ ৩১:৩০ পদ) ।