বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাসুদ আলম : বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানিয়ে একটি দল ফায়দা নিতে চায়। এ ধরনের চেষ্টা একদিনে হয়নি। ১৯৭১ সালের পর থেকে এ চেষ্টা চলছে। আর অপচেষ্টা রোধ করা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে সম্ভব নয়, এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশে আইএস নামে কিছু ু নেই।
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ‘মাদক ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ এবং কনসার্ট’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংসদ সদস্য একেএম রহমত উল্লাহ ও পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত এমন ৫০ জনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর অংশ হিসেবে ৫০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদবসেবীকে একটি করে সেলাই মেশিন ও প্রত্যেককে চার হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানেই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েছি,সেখানেই অভিযান চালিয়েছি তাদের দমন করেছি। জঙ্গি দমনে আমাদের বেশ কিছু চৌকষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। আজকের পুলিশ জনগণের পুলিশ। জঙ্গি ও মাদক দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সরকার সফল হয়েছে। এখন সরকার অপরাধীদের অন্ধকারের পথ থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাদের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে। তাই জঙ্গি ও মাদক ব্যবসায়ীদের ভাল পথে ফিরে আসতে আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেন, মাদক ব্যবসায় কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজধানীর বস্তিগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যে সব বস্তিতে অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ী থাকবে, সেসব বস্তি উচ্ছেদ করা হবে। জঙ্গিবাদের মাধ্যমে ইসলামকে কলুষিত করার জন্য আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে। তারা ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করতে চায়। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জঙ্গি দমনে আমরা সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করছি। যার কারণে অপরাধ কমে আসবে। চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষা করা হবে। যদি কারো শরীরে মাদক সেবনের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে না। যদি ছাত্র-শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি-পুলিশ এবং মিডিয়া সবাই একযোগে কাজ করে তাহলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ আবু হায়দার আহমেদ নাছের,পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান, ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদ খন্দকার, ভাটারা থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল খন্দকার, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি টুটুল বেপারী, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মিরাজুল ইসলাম ডলার ও বনানী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেলসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।