কাশ্মীরের অনন্তনাগ উপনির্বাচন স্থগিত
ডেস্ক রিপোর্ট : লাগাতার নাশকতার জেরে উপত্যকার পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তাই অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন স্থগিত রাখল নির্বাচন কমিশন। এর আগে ১২ এপ্রিল নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। পরে সেটি ২৫ এপ্রিল পিছিয়ে আনা হয়েছিল। কুপওয়াড়ার সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার পরও তাতে হেরফের হয়নি। বরং উপনির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গত সপ্তাহেই জরুরি বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু একদিকে পুঞ্চ সেক্টরে পাকিস্তানি সেনার বর্বর হামলা, আর অন্যদিকে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির পোস্টার ও পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে পুলওয়ামায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ-দুইয়ের জেরে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজকাল
সোমবার রাতে ১০ পাতার একটি বিবৃতি জারি করে নির্বাচন স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বর্তমানে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নির্বাচনের পক্ষে অনুকূল নয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী নেই সেখানে। এমত অবস্থায় শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীনভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য অনন্তনাগের উপনির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি এতে সায় দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পরে ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে।’ ভোটদাতাদের নিরাপত্তার দিতে এপ্রিলের শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাতে রাজ্যে আরও ৭৫,০০০ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনের আর্জি জানানো হয়েছিল। এর আগে মার্চ মাসে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের জন্য ৭০,০০০ নিরাপত্তাকর্মী অথবা ৭০০ কোম্পানি আধা সামরিকবাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেবার নির্বিঘেœই ভোটপর্ব মিটেছিল। তাই শুধুমাত্র অনন্তবাগ নির্বাচনী কেন্দ্রের জন্য এত নিরাপত্তাকর্মী পাঠাতে রাজি হয়নি কেন্দ্র। মেরে কেটে ৩০,০০০ নিরাপত্তাকর্মী অথবা ৩০০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী পাঠানো যেতে পারে বলে কমিশনকে জানায় তারা। উপনির্বাচন স্থগিত রাখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, এর আগে শ্রীনগর উপনির্বাচনে মাত্র ৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল। তাই ভোটবুথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেও, আদতে কতজন ভোট দিতে আসবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাই এত আড়ম্বর অর্থহীন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ