রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বাহাস
এনামুল হক, এ জেড ভূঁইয়া আনাস : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হকের সাথে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রম আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে এডিআর-এর ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার চলাকালীন সময়ে এই ঘটনা ঘটে। এতে কিছুক্ষণের জন্য সেমিনারের অচলাবস্থা দেখা দেয়।
সেমিনারে মন্ত্রী রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের সকলে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে এমন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলে সাদ্দাম হোসেন নামে একজন প্রতিবাদ জানান। বলেন, দুর্ঘটনার কারণে তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। তিনি সরকারের কাছ থেকে অনুদান পেয়েছেন। কিন্তু গার্মেন্ট মালিকদের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। এ সময় মন্ত্রী থামিয়ে দিয়ে জানতে চান, সাদ্দাম কোন গার্মেন্টের শ্রমিক?
পরে জানা যায় সাদ্দাম গার্মেন্টের কোনো শ্রমিক ছিলেন না। তিনি ন্যাসলে বাংলাদেশের মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। দুর্ঘটনার সময় সে পাশের বিল্ডিংয়ে ছিলেন। ফলে বিধ্বস্ত রানাপ্লাজার কিছু অংশ এসে তার গায়ে পড়ে। এতে তিনি একটি হাত হারান।
এই ঘটনার পর তিনি সরকার থেকে অনুদান পান। তবে তিনি কোম্পানি থেকে কোনো সাহায্য পাননি। পরে মন্ত্রী তাকে কোম্পানির কাছে কোনো সহায়তা চেয়ে দরখাস্ত করেছেন কিনা বা কোনো মামলা করছেন কিনা তা জানতে চাইলে সে কোনো আইনি সহায়তা নেননি বলে জানান। এ সময় মন্ত্রী এবং সাদ্দামের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
সাদ্দাম মন্ত্রীর কাছে চাকরির আবেদন জানালে মন্ত্রী বলেন, আপনাকে সরকার চাকরি দিতে বাধ্য না। কারণ আপনি সরকারি চাকরিরত ছিলেন না। সরকার শুধু সহায়তা দিতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রী তার চাকরির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন। সাদ্দামকে ন্যাসলে কোম্পানির কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন করার পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় সাদ্দাম চুপ করে থাকেন। পরে মন্ত্রী তাকে আইনি সহায়তার আশ্বাসও দেন। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ