যা নিশ্চিত হলে নির্বাচনে যাবে বিএনপি
ইনাম আহমেদ চৌধুরী
আমরা যে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দিব সেটা যদি বর্তমান সরকার মেনে না নেয় তাহলে আমাদের করণীয় হবে তার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করানো। কারণ আমরা চাই, দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। আমরা দেখছি যে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বলছেÑ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মুখ রুদ্ধ। বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ বাংলাদেশে। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন তাই বলছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিতে ব্যর্থতার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার বিরুদ্ধ মতের বাকস্বাধীনতা খর্ব করছে। গত কিছুদিন আগে ডেভিড ক্যামেরন বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, সত্যিকার গণতন্ত্র হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
অংশীদারমূলক নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের অঙ্গ। আমরা চাইÑ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। স্থায়ী রূপ ধারণ করুক। সত্যিকারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হোক, যেখানে অংশীদারিত্বমূলক আচরণ রয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ১৫০ জনের বেশি প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এটা কোনো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি হতে পারে না। বর্তমানেও সেই অবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ওইরকম একটি পরিবেশ যাতে এবার না হয় তাই আমরা প্রত্যাশা করছি।
শুধু আমরা নই, এখানে বিএনপির চাওয়া-পাওয়ার চেয়েও বড় হচ্ছেÑ জনগণের চাওয়া। সাধারণ মানুষ চায়Ñ দেশে অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হোক। সত্যিকারের গণতন্ত্র তাদের প্রত্যাশা। সত্যিকারের ভালো একটি নির্বাচনী পরিবেশ। যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত হবে। সরকার যদি গণতান্ত্রিক এ দাবি না মানে তাহলে দেশের জনগণই তার ফয়সালা করবে।
আমরা এমন একটি নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা চাই যেখানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক কোনো বিষয় থাকবে না। পক্ষপাতিত্বমূলক নির্বাচনকালীন সরকার আমরা চাই না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাই ছিল সত্যিকারের গণতন্ত্র। আমরা বিশ্বাস করিÑ বাংলাদেশের জনগণ সেই চেতনা সুপ্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট থাকবে।
পরিচিতি: ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান