ছাত্রলীগ কর্মীদের চাকরি না দেওয়ায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবরুদ্ধ
রংপুর প্রতিনিধি : চাকরির দাবিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) এ কে এম নূর-উন-নবীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভা কক্ষে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ মুখতার ইলাহী হল ছাত্রলীগ শাখার নেতাকর্মীরা, যাদের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাদীউজ্জামান হাদী।
তবে এ কর্মসূচির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান নোবেল শেখ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃতিশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে যোগ্যতার ভিত্তিতে ছাত্রলীগ নেতাদের চাকরি দেওয়ার দাবি করে আসছিলাম।
‘স্যার কথাও দিয়েছিলেন। কিন্তু আগামী ৫ মে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। তাই আমরা নেতারা সকাল ১১টায় চাকরির দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তিনি কথা না শুনে অশালীন আচরণ করায় দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখি। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে জানান মৃতিশ চন্দ্র।
উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ৫ মে শেষ হচ্ছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বলেন, ‘যদি এই সময়ে উপাচার্য ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়োগ না দিয়ে যান তবে তাকে ছাত্রলীগ নেতাদের লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, আমি বিভিন্ন অনুষদের সভায় ব্যস্ত আছি। বিষয়টি নিয়ে তিনি পরে আলাপ করার কথা বললেও, পরে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৩ সালের ৫ মে মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়াকে উপাচার্যের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় আচার্যের দফতর। একই বছরের ৬ মে উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ কে এম নূর-উন-নবী। সম্পাদনা : জাহিদ হাসান