বাস কন্ডাক্টর বাবার স্বপ্নপুরণে পাইলট হচ্ছেন মেয়ে
ডেস্ক রিপোর্ট : ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়, তা আরো একবার প্রমাণ করতে চলেছেন ভারতের গুজরাটের উনিশ বছর বয়সী ঐশ্বরিয়া পাটেল। আর এই বিশ্বাস ছিল বলেই বাস কন্ডাক্টরের মেয়ে ঐশ্বরিয়া আর কয়েক মাসের মধ্যে কমার্শিয়াল পাইলটের লাইসেন্স হাতে পাচ্ছেন। টিওআই
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এইভাবে ভাল করলে গুজরাটের সুরাতের ২১ বছর বয়সেই এয়ারলাইন ট্রান্সপোর্টেশন পাইলট লাইসেন্সও পেয়ে যাবেন এই যুবতী। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেন ঐশ্বরিয়া। তারপরেও ঐশ্বরিয়ার এই স্বপ্নপূরণ অবশ্য একেবারেই সহজ ছিল না। তার বাবা গণপত পাটেল গুজরাতে সরকারি বাসের কন্ডাক্টর। পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য মোট ২৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন ছিল। বাস কন্ডাক্টর বাবার পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত সহজ সুদে রাজ্য সরকারের থেকে ঋণ পান ঐশ্বরিয়া। তবে আর্থিক সামর্থ্য না থাকলেও বাবা তাকে সবসময় স্বপ্নপূরণে উদ্বুদ্ধ করতেন বলেই জানিয়েছেন এই যুবতী। তার ভাষায়, এতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যাতে কোনওভাবেই তিনি সব পরীক্ষায় একবারে পাশ করেন, সে বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। থিওরি ক্লাস ছাড়াও মোট ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে হবে ঐশ্বরিয়াকে। মহারাষ্ট্রের শিরপুরে ইতিমধ্যেই ১৮৫ ঘণ্টা আকাশে ওড়ার প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে তার। বাকি ১৫ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ হায়দরাবাদে হবে। ঐশ্বরিয়ার স্বপ্ন, তিনি একদিন বড় কোনও বাণিজ্যিক বিমানের কম্যান্ডার হবেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ