পাসে এগিয়ে মেয়েরা জিপিএ-৫ এ ছেলেরা
তরিকুল ইসলাম সুমন : দ্বিতীয়বারের মতো সারাদেশে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮০.৩৫ শতাংশ বা ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২। এর মধ্যে ৭৯.৯৩ শতাংশ বা ৭ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৮ ছাত্র এবং ৮০.৭৮ শতাংশ বা ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪ জন ছাত্রী পাস করেছে। গড় পাসের দিক দিয়ে এগিয়ে শূন্য দশমিক ৮৫ ভাগ বেশি মেয়েরা।
গতকাল সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ আনুষ্ঠানিক এ ফলাফল প্রকাশ করেন। এ সময় শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর ছেলেদের পাসের হার ছিল ৮৮.২ শতাংশ এবং মেয়েদের ছিল ৮৮.৩৯ শতাংশ।
ফল প্রকাশের সময় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, গতবারের চেয়ে এ বছর পাসের হার কম ছেলেদের। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার বেশি। এ বছর মোট পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ চার হাজার ৭৬১ জন। ১০টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন।
অপরদিকে ৬ বছর ধরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে মেয়েদের তুলনায় জিপিএ-৫ এ এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। এবছর ৫৩ হাজার ৪৮৮ ছাত্র এবং ৫১ হাজার ২৭৩ ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, গত বছর ৫৭ হাজার ৭২৭ জন ছেলে ও ৫২ হাজার ৩৪ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০১৫ সালে ৬০ হাজার ৩৭০ জন ছাত্র ও ৫১ হাজার ৫৩১ জন ছাত্রী, ২০১৪ সালে ৭৭ হাজার ৫৫১ ছাত্র ও ৬৪ হাজার ৭২৫ ছাত্রী, ২০১৩ সালে ৫২ হাজার ৩৯২ ছাত্র ও ৩৮ হাজার ৮৩৪ ছাত্রী এবং ২০১১ সালে ৪৫ হাজার ৮৬০ ছাত্র ও ৩০ হাজার ৮৮৯ ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
ঢাকা বোর্ডে মেয়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৪০, ছেলে ১ লাখ ৯২ হাজার ৮০০, রাজশাহী বোর্ডে মেয়ে ৭৩ হাজার ৩৫৩, ছেলে ৭৮ হাজার ৫৩, কুমিল্লা বোর্ডে মেয়ে ৪৯ হাজার ৪৫৬, ছেলে ৫৮ হাজার ৫৫৫, যশোর বোর্ডে মেয়ে ৬২ হাজার ২৪, ছেলে ৬০ হাজার ৯৭১ জন পাস করেছে। চট্টগ্রাম বোর্ডে মেয়ে ৫২ হাজার ৪২৪, ছেলে ৪৬ হাজার ৫৯৮, বরিশাল বোর্ডে মেয়ে ৩৬ হাজার ৯৬৭, ছেলে ৩৫৩৯১, সিলেট বোর্ডে মেয়ে ৪১ হাজার ৭১৯, ছেলে ৩৩ হাজার ৬৫৫, দিনাজপুর বোর্ডে মেয়ে ৬৭ হাজার ৯৯৯, ছেলে ৬৯ হাজার ৩৬৩ জন পাস করেছে। মাদ্রাসা বোর্ডে মেয়ে ৯৩ হাজার ১৬৩, ছেলে ৯৯ হাজার ৮৮৮ জন পাস করেছে এবং কারিগরি বোর্ডে মেয়ে ২২ হাজার ৯০, ছেলে ৬১ হাজার ৫১৩ জন পাস করেছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু