জাসদ নেতা জামালের খুনিদের বিচার দাবি
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রাজধানীর ভাষানটেক থানা জাসদের যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেনের খুনিদের বিচারের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। শনিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত জামালের স্ত্রী জহুরা বেগম, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. মহসীন, কেন্দ্রীয় নেতা হাসান আলী বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম খোন, সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী, মহানগর পশ্চিমের সভাপতি টুটুল সরকার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১১ এপ্রিল ভাষানটেক থানার সামনে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জামালকে গুলি করে। পরে হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জামাল। হামলাকারিরা সকলেই বিএনপি জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ করেন জাসদ নেতারা।
জামালের স্ত্রী জহুরা বেগম জানান, জামাল রাজনীতির পাশাপাশি জমি ভরাটের কাজ করতেন। গতবছর ২০ নভেম্বর জোয়ার সাহারা মৌজার ৭৭০ দাগে এক সেনা সদস্যের ১০ কাঠা জায়গায় মাটি ভরাটের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। কাজের শুরুতেই স্থানীয় সন্ত্রাসী জামাল মোস্তফা এ কাজে বাধা দেয়। পরে ২৫ নভেম্বর প্রকাশ্যে জামালকে কুমিল্লা পট্রির সন্ত্রাসী মানিক অস্ত্র দেখিয়ে হমুকি দিলে সেদিনই ডিবির হাতে গ্রেফতার হয় সে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হযে জামাল মোস্তফা, ইব্রাহিমসহ তাদের গ্রুপের সন্ত্রাসীরা জামাল হোসেনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে ৬ মাসের মধ্যে প্রানে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা।
জাসদ নেতারা অভিযোগ করেন, জামাল হোসেন মারা গেলে তার স্ত্রী থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে অবশ্য মিরপুর জোনের ডিসির নির্দেশে মামলা নেয় পুলিশ। জামালের স্ত্রী জহুরা বেগম দাবি করেন, তার স্বামী মারা যাওয়ার আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বেশকিছু শত্রুদের নাম বলে গেছেন, তারা হলেন, ভুষি বাবু, সোহেল, আউয়াল সরকার, রনি, শাহিন, আব্দুল, সাজ্জাদ, সাব্বির, কাশেম, হিরন, কালা উব্রাহিম, রূপচান, আলমগীর, কারেন্ট মিজান, শামিম ওরফে ডিস শামিম। জাহুরা বেড়ম তার স্বামীর হত্যা জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানান।