চরমতম শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা জরুরি
ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী
একাত্তর ছিল আমাদের জন্য ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা। একেবারে অন্যায়ভাবে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী নিরীহ বাঙালির উপর হামলে পড়েছিল। হত্যা করেছিল লাখ লাখ মানুষকে। এককথায় বলায় যায় একাত্তরে যা হয়েছি তা ছিল গণহত্যা। এই গণহত্যায় অংশগ্রহণ করেছিল এদেশীয় দোসরাও। সহযোগিতা করেছিল পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীকেও।
পাকিস্তানি দোসরদের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। ওরা ওই সময় মানুষের আচরণ করেনি। এদের চূড়ান্ত শাস্তি হওয়াটাই আমরা দাবি করি। এত বড় একটা মানবাধিকার পরিপন্থী ঘটনা ঘটাল এ নিয়ে তাদের কোনো অনুতাপ নেই, ভালবাসা নেই মনে, মানবতা নেই। যাদের মনে ভালোবাসা নেই, প্রেমপ্রীতি নেই, মানবতাবোধ নেই, মানুষের আচরণ নেই তারাই কেবল এমন অমানসিক, বর্বর ঘটনার সহযোগী হতে পারে। কাজেই এদের বেঁচে থাকা, না থাকা সমান।
গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের শাস্তির আইন আরও আগে থেকে করা উচিত ছিল। এ বিষয়ে আইন করার প্রস্তাবটি মহান জাতীয় সংসদের পাস হয়েছে। বিকৃত ইতিহাস পড়ে একটি শিশুর মানসিকতাও বিকৃত হবে। ভুল জেনে বড় হবে সে। তার ফলে যা সর্বনাশ হওয়ার তাই হবে। দেশ ও জাতি ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। সত্য ইতিহাস যাতে কেউ বিকৃত করতে না পারে তা নিশ্চিত করা অবশ্যই দরকার। ইতিহাস বিকৃতকারীদের সর্বোচ্চ এবং চরমতম শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা জরুরি। পরিচিত: ভাস্কর ও মুক্তিযোদ্ধা
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি
সম্পাদনা: আশিক রহমান