মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে : দুদক চেয়ারম্যান
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। তারা কি জানে না কারা মাদক ব্যবসা করে? তাদের কাছ থেকে আমাকে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। যার নাম, ঠিকানা কোনোটাই ঠিক নেই। তবে এই তালিকায় অনেক বড় বড় ব্যক্তি রয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ আয়োজিত ‘মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃপক্ষের কাছে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা চেয়েছিলাম। যদিও এটা দুদকের কাজ নয়। তারা আমাদেরকে ৩৬৫ জনের একটি তালিকা দিয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলো তালিকা পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে দেখি কোনো ঠিকানা সঠিক নয়। এ সময় তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নিয়ন্ত্রণহীন কিনাÑ সে প্রশ্ন তোলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারা মাদক ব্যবসা করছে অধিদফতর জানবে না, সেটা হতে পারে না। আমি তাদের বলতে চাই, হয় মাদক ব্যবসা ছাড়বেন নয়তো জেলে যেতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের এক মাস সময় দিতে চাই।
এর মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের সঠিক ঠিকানা দুদককে দিতে হবে। কমিশন সজাগ রয়েছে। মাদকব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের দেশ থেকে এই মাদকের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। যারা মাদকের ব্যবসা করে তারা দুর্নীতির টাকায় ব্যবসা করে।
ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবে না। তা সংবিধান বহির্ভূত। তিনি যেকোনো উপায়ে দুর্নীতির কড়াল গ্রাস বন্ধ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় দুদক চেয়ারম্যান তার নিজস্ব দুটি প্রস্তাব তুলে ধরেন, এক. ড্রাইভিং লাইসেন্সের সময় প্রত্যেকের ড্রাগ টেস্ট করা যেতে পারে, দুই. কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রাগ টেস্ট করা যেতে পারে। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ