নীতিমালা জারি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু ৯ মে
তরিকুল ইসলাম সুমন : দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে (উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ৯ মে। প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৫ জুন। ভর্তি শুরু হবে ২০ জুন, ১ জুলাই থেকে শুরু হবে ক্লাস।
গতকাল ‘২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০১৭’ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত বছরের মতো এবারও অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করা যাবে। শিক্ষার্থীরা পছন্দের ১০টি কলেজের নাম দিতে পারবে।
বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসির ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অনলাইন ও টেলিটক থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করা যাবে ৯ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত। অনলাইনে আবেদনের ঠিকানা িি.িীরপষধংংধফসরংংরড়হ.মড়া.নফ। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন তাদেরও এ সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে।
এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পছন্দক্রমে রাখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে।
এবার শিক্ষাবোর্ড শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চিত (নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তি হবে বলে নিশ্চিত করা) করার সময় ১৮৫ টাকা করে ফি নেবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ভর্তি ২০ জুন থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ জুন। এরপর ২৮ ও ২৯ জুন ভর্তি করা হবে। শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের ৩০ থেকে ৩১ মে আবেদন গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চিত করা হবে ৬ থেকে ৮ জন পর্যন্ত।
প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ৫ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩ জুন এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১৮ জুন ফল প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ১৩ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন ও তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সিলেকশনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুন।
নীতিমালায় অরো বলা হয়েছে, এবার মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ছাড়াও ২০১৫ ও ২০১৬ সালের পরীক্ষায় এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, উপজেলা এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি ফি নেওয়া যাবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৫ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও-বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৮৯ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অবশিষ্ট ১১ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় এবং জেলা সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রবাসীদের সন্তান এবং বিকেএসপির শিক্ষার্থীর জন্য শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করে কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি