টিউলিপ সিদ্দিকের প্রচারে মেয়র সাদিক খান
আরিফ আহমেদ : যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ ২০১৫ সালের মে মাসের নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে যান। ব্রেক্সিট সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আগামী ৮ জুন আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় এখন দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন তিনি।
শনিবার হ্যাম্পস্টেড থিয়েটারের সামনে সমাবেশের মধ্য দিয়ে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন টিউলিপ। ওই সমাবেশে অংশ নেন সাদিক খান, যিনি গত বছর ১১ প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে লন্ডনের প্রথম মুসলমান মেয়র নির্বাচিত হন।
নির্বাচনি প্রচারের কার্যক্রমের পর এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সাদিক খানসহ অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান টিউলিপ। ওই সভার একটি ছবিও ফেসবুকে আপলোড করেন তিনি।
সমাবেশের পর লন্ডনভিত্তিক সংবাদপত্র ক্যামডেন নিউ জার্নালকে সাদিক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আগাম নির্বাচন দিয়েছেন, যাতে তিনি অত্যন্ত কঠোরভাবে ব্রেক্সিট সম্পন্নের ক্ষমতা পান। এভাবে ব্রেক্সিট না চাইলে টিউলিপকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট। গত বছর গণভোটে দেশটির জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যান ডেভিড ক্যামেরন, দায়িত্ব নেন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা টেরিজা মে।
শুরু থেকে ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে আসছেন টিউলিপ সিদ্দিক। এ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের আনা একটি বিলে সমর্থনের দলীয় সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে গত জানুয়ারিতে লেবার পার্টির ছায়া সরকারের দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।
গণভোটে যুক্তরাজ্যের জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলেও টিউলিপের আসনের ৭৫ শতাংশ ভোটারই ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাওয়া পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।
ছায়া সরকারে ‘শ্যাডো মিনিস্টার ফর আর্লি ইয়ার্স এডুকেশন’র দায়িত্ব থেকে পদত্যাগপত্র দিয়ে টিউলিপ ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টকে বলেছিলেন, আমি সবসময় পরিষ্কার-হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নে আমি ওয়েস্টমিনস্টারের প্রতিনিধিত্ব করি না, আমি ওয়েস্টমিনস্টারে হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের প্রতিনিধিত্ব করি।
পেছনের কাতারে থেকে থেরেসা মের ত্বরিত ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করাই আমার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে আমি মনে করি। টিউলিপের ওই দৃঢ়তার কথাই তুলে ধরছেন সাদিক খান।
নিউ জার্নালকে সাদিক খান বলেন, সেই ব্যক্তি যিনি ইইউর সঙ্গে আমাদের একটি ভালো চুক্তির জন্য বলছেন, কারণ এতে কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে, তিনি টিউলিপ সিদ্দিক। সম্পাদনা : জাহিদ হাসান