সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই : ইলিয়াস কাঞ্চন
শাকিল আহমেদ: সড়ক নিরাপত্তায় বিশ্বের সর্বত্র পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং দুর্ঘটনা প্রবণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দায়সারা গোছের মনোভাব। যা ভাবিয়ে তুলেছে বলে মনে করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ)গোল টেবিল মিলনায়তন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২০০৪ থেকে জাতিসংঘ ঘোষিত সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেখানে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে কাজ করে সড়ক দুর্ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সফলতা দেখিয়ে আসছে, সেখানে আমাদের দেশে সরকারি পর্যায়ে এই ব্যাপারে মাথা ব্যাথা নেই বললেই চলে। জাতিসংঘের বিভিন্ন দিবস পালনে সরকারি উদ্যোগ পরিলক্ষিত হলেও সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনে এতো অনীহা কেন?
তিনি বলেন,জাতিসংঘের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ইউরোপীয় অনেক দেশই সড়ক দুর্ঘটনা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সুইডেন সড়ক দুর্ঘটনাকে জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি গতি নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে আমেরিকার নিউইয়র্ক এবং বৃটেন জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। যার সুফল তারা পেতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, যখন গতি বৃদ্ধি পায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঘন্টায় ১ কিঃ মিঃ গতি বাড়লেই ৪-৫ ভাগ দুর্ঘটনায় প্রাণহানী বেড়ে যায়। গতির সাথে দুর্ঘটনার একটি সম্পর্ক রয়েছে। অতিরিক্ত গতির ফলে পথচারী,মটরসাইকেল আরোহী ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হয় । যখন গতি হয় ৮০ কিঃ মিঃ তখন প্রাণহানীর সম্ভাবনা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৬০ ভাগ। গতিই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য মূলত দায়ী। বেশিরভাগ দেশের যুবক শ্রেণীর চালকরা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে পছন্দ করে যা দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করেন তিনি । চালক নেশাগ্রস্ত থাকলে বা রাস্তা সম্পর্কিত লে-আউটসহ চালকদের প্রশিক্ষণ এবং আইনের প্রয়াগের গাফিলতিগুলোও চালকদের উৎসাহিত করে।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শামীম আলম দীপেন, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল, দুর্ঘটনা অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুর রহমানসহ।