নয়নাভিরাম হাতিরঝিল এখন অরক্ষিত ছিনতাইকারী মাদকসেবী আর রোমিওদের
আজাদ হোসেন সুমন: হাজার কোটি টাকার হাতিরঝিল এখন অরক্ষিত। দিনে-দুপুরে ছিনতাই, মাদক সেবনসহ চলছে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। দর্শনার্থীদের অভিযোগ, দায়িত্বশীলদের অবহেলায় সংঘবদ্ধ চক্র নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর দর্শনীয় এ স্থানটি ধীরে-ধীরে দুষ্টচক্রের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে হাতিরঝিলের রাস্তায়। ফলে শোভাবর্ধন ও প্রকল্পকাজ সম্পন্ন করার দায়িত্বে থাকা একটি বিশেষ বাহিনীর কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হওয়া দরকার বলে মনে করেন দর্শনার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতিরঝিলে ঘোরা-ফেরা করছে কিছু উশৃঙ্খল যুবক। বিভিন্ন হমকানে মাদক পসবন করতেও পদখা গেছে এসব যুবকদের। দর্শনার্থী মেয়েদের লক্ষ্য করে টিজ করতেও দেখা গেছে এ যুবকদের। এ সময়ে হাতিরঝিলে স্বপরিবারে ঘুরতে আসা (ব্যবসায়ী) বলেন, হাতিরঝিল প্রকল্পটি দেখতে ও বিনোদনের জন্য খুব সুন্দর একটি জায়গা হলেও বর্তমানে হাতিরঝিলের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বখাটে ছেলেদের উতপাত ও ছিনতাইয়েকারীদের দৌরাত্ব বাড়ছে দিনে-দিনে। সেই সাথে এ স্থানটি মাদক সেবীদের সুবিধাজনক জায়গা হিসাবে পরিনত হয়েছে। আবার কোনো উশৃঙ্খল তরুণ-তরুনী প্রকাশ্যে বেলেল্লাপনায় ল্পিত হলেও দেখার কেউ নেয়। তাদের ঘনিষ্টতা বা চুম্বন দৃশ্য দেখে রিতিমত বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা লোকজনকে। সেখানে নেই যথেষ্ট পরিমাণে নিরাপত্তাকর্মী। ফলে দর্শনার্থীরা সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তবে এসব বিষয় বিবেচনা করেই বর্তমানে দর্শনার্থী ও পথচারীদের সুবিদার্থে নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে হাতিরঝিল বাস সার্ভিস। এই সুবিধায় ৬টি বাস ছাড়া হয়েছে যেটি সকাল ৭:৩০ টা থেকে রাত ১০:৩০ টা পর্যনমশ চলাফেরা করতে পারবে। জানা গেছে, স্বপ্নের প্রকল্প হাতিরঝিল ২০০৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) শেষ বৈঠকে বহুল আলোচিত বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।