বর্ষার শুরুতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন
এম.এস.সাগর, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে বর্ষার শুরুতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, উপজেলার নদের তীরবর্তী মানুষজন। ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, দুধকুমর, গঙ্গাধর ও ব্রহ্মপুত্রসহ ১৬টি নদ নদীর কড়ালগ্রাসে বিলীন ফসলী জমি ও জমির ফসল বিনষ্ট হয়ে মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বহারা স্বজনরা পরিবার পরিজন নিয়ে দৃষ্টির সীমানা ছেড়ে হারিয়ে যায় বহুদুরে। মানবেতর জীবনযাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। ভাঙনের তীব্রতায় পাল্টে যাচ্ছে রাজিবপুর, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারীর মানচিত্র।যোগাযোগ ব্যবস্থার অচল। ভাঙনের আশঙ্কায় বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে তীরবর্তী মানুষজন। ভিটেমাটি ছাড়া যার কোন জমি নেই তারা আশ্রয়হীন হয়ে মানবেতর দিন যাপন করছে।
রাজিবপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের কড়ালগ্রাসে প্রায় দুই হাজার পরিবার ঘর-বাড়ি, ভিটে-মাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করছে। হুমকির মুখে পড়েছে মোহনগঞ্জ বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক। গত ১ মাসে রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের মোহনগঞ্জ বাজার, নয়ারচর, নেওয়াজি, শংকরপুর, হাজিপাড়া, ফকিরপাড়া ও ব্যাপারীপাড়াসহ ২৫গ্রামের ১০কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ১৫ দিনে নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে সহস্রাধিক ঘর-বাড়ি ও কয়েকশ একর ফসলি জমি। ভাঙন ঠেকাতে ইউনিয়নবাসী মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করলেও তা নজরেই আসছে না কর্তৃপক্ষের।
মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের জোহরা বেগম বলেন, ১০দিন হয় ভাঙনের মুখে ঘরবাড়ি সরিয়ে নদের নিকটবর্তী অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছি। সোবহান মিয়া বলেন, নদী ভাঙার ফটোক তুলি কোনটে ভাঙা বন্ধ হয়। তার চাইতে ভাঙার হাত থাকি হামাক বাঁচান।
কুড়িগ্রাম পনি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার বির্স্তীন এলাকা জুড়ে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন চলছে। আমরা এ দুইটি উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৭কিলোমিটার স্থায়ী নদীতীর সংরক্ষণ কাজ এবং প্রায় ২০কিলোমিটার ড্রেজিংসহ ১প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছি যা প্রক্রিয়াধীন। এ বছর ৩৩০মিটার কাজের অনুমোদন পেয়েছি। অতি শিগশিগরই সেখানে কাজ শুরু হবে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান