বাজার সৃষ্টিকারী বিধিমালা অনুমোদন করেছে বিএসইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বাজার সৃষ্টকারী) বিধিমালা ২০১৭’ অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ। কমিশনের ৬০৪তম নিয়মিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। বিএসইসি জানিয়েছে, বিধিমালার কিছু পরিমার্জন ও সংশোধন সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যা গেজেট আকারে শিগগিরই প্রকাশ হবে। বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, শেয়ারবাজারের অস্বাভাবিক উত্থান পতন রোধে ২০০২ সালে তৈরি করা হয় বাজার সৃষ্টিকারী (মার্কেট মেকার) বিধিমালা। তবে ওই বিধিমালার কোন কার্যকারিতা নেই। ২০১০ সালের ধসের পর বাজার সৃষ্টিকারী তৈরির বিষয়ে বেশ তোড়জোড় দেখা দেয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। ২০১১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পক্ষ থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে মৌখিক প্রস্তাবও দেয়া হয়। এরপর ২০১২ সালের শুরুর দিকে ডিএসইসির পক্ষ থেকেও মৌখিক একটি প্রস্তাব দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালের জুনের মাঝামাঝিতে বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বাজার সৃষ্টিকারী তৈরির বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। আলোচনার প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের শুরুর দিকে বাজার সৃষ্টিকারীর বিদ্যমান বিধিমালাতে কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। বাজর সৃষ্টিকারীর বিষয়ে ‘সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (বাজার সৃষ্টিকারী) বিধিমালা, ২০০০’ বলা হয় আইনের আওতায় কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক, তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্টক ডিলার বা স্টক ব্রোকার বিএসইসি (এসইসি) থেকে সনদ পাওয়ার যোগ্য হবে।
নিবন্ধন পাওয়া বাজার সৃষ্টিকারীরা সর্বোচ্চ সততা, বিশ্বস্ততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাজার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রত্যেকে এক বছরের জন্য সনদ পাবেন এবং তাদের সব হিসাব ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। অনুমোদিত বাজার সৃষ্টিকারী সিকিউরিটির বা শেয়ারের তারল্য ও উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে এবং বাজারের আচরণের উপর তাদের ভূমিকা নির্ধারণ করবে।
বাজার সৃষ্টিকারী বিধি মালায় বলা হয়, ‘ক্রয়াদেশ মূল্য এবং বিক্রয় প্রস্তাব মূল্য সন্নিহিত সময়ে একই হতে পারবে না।
কোনো নির্দিষ্ট সময়ে ক্রয়াদেশ ও বিক্রয় আদেশ প্রস্তাব মূল্য পূর্বের ক্রয়াদেশ মূল্য ও বিক্রয়াদেশ মূল্যের পাঁচ শতাংশের কম বা বেশি হবে না। বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, কমিশনের নির্ধারিত টাকার সমপরিমাণ সিকিউরিটি বা শেয়ার প্রতিদিন বাজার সৃষ্টিকারীকে লেনদেন করতে হবে। প্রয়োজনে কমিশনের পূর্বানুমতিক্রমে সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জের নির্ধারিত ক্রয়াদেশ মূল্য ও বিক্রয় প্রস্তাব মূল্যের মধ্যেকার ব্যবধান পরিপালন করতে হবে। বাজার সৃষ্টিকারীকে প্রদত্ত দরে লেনদেন কার্যকর নিশ্চিত করতে হবে।সম্পাদনা: সাইদ রিপন