গোপালগঞ্জে মেকানাইজেশন ভিলেজ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা
এস এম সাব্বির, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে মেকানাইজেশন ভিলেজ কৃষিতে বিপ্লব ও নব দিগন্ত উম্মোচন করছে। মেকানাইজেশন ভিলেজে ধান উৎপাদনে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষক বীজ, সার ও শ্রমিক খরচ সাশ্রয় করেছেন। ধানে উৎপাদন খরচ কমেছে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ। কৃষক ধানের অধিক ফলন পেয়েছেন। ফলে তারা বেশি লাভবান হয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের রাজপাট গ্রামে বাংলাদেশ ধানগবেষণা ইনস্টিউিটের (ব্রি ) ফার্ম মেশিনারি এ্যান্ড পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ চলতি বোর মৌসুমের শুরুতে পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের (পিজিবি) আর্থায়নে মেকানাইজেশন ভিলেজ তৈরি করে। এ বছর ওই ভিলেজের ১৫০ টি প্লটে পরীক্ষা মূলকভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি ট্রাকটর, রাইস প্লান্টার, উইডার, দানাদার ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্র ও রিপার ব্যবহার করে কৃষক ধান আবাদে সাফল্য পেয়েছেন।
রাজপাট গ্রামের কৃষক রাশেদুল আলম শামীম মিয়া বলেন, প্রথম ট্রেতে বীজতলা করেছি। ট্রাকটর দিয়ে জমি চাষ দিয়েছি। বীজতলার চারার বয়স ২৫ দিন হওয়ার পর রাইস প্লান্টার মেসিন দিয়ে জমিতে ধান রোপন করেছি। এতে বীজ খরচ সাশ্রয় হয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে যে জমিতে ধান রোপনে ১২ জন শ্রমিকের ৫ ঘণ্টা লাগতো সেখানে এ পদ্ধতিতে ২ জন শ্রমিক মাত্র দু’ ঘণ্টায় সে ধান রোপন করেছেন। এছাড়া উইডার, দানাদার ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্র ও ধান কাটার রিপার ব্যবহার করে ধান উৎপাদনের খরচ কমেছে প্রায় ৪০ ভাগ। ফলন বেশি পেয়েছি। আগামী বছর আমাদের এলাকায় কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।
পিজিবির প্রকল্প পরিচালক ও ব্রির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. খায়রুল আলম ভূইয়া বলেন, ব্রি উদ্ভাবিত রাইচ প্লান্টার মেসিন দিয়ে চারা রোপন করলে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় ৯ থেকে ১০ ভাগ ফলন বাড়ে। ৬০ ভাগ শ্রমিক সাশ্রয় হয়। উইডার দিয়ে দ্রুত আগাছা নিড়ানী দিয়ে ৭৫ ভাগ শ্রমিক খরচ বাঁচানো যায়। পক্ষান্তরে খরচ সাশ্রয় হয় ৬৫ ভাগ। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান