বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর রেলওয়ে সেতু এখন মরণ ফাঁদ
এম এস সাগর, কুড়িগ্রাম : দুধকুমর নদে সংযোগ রক্ষাকারী বঙ্গসোনাহাট ¯’লবন্দর অবকাঠামো নির্মাণ ও রেলওয়ে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ও হুমকির মুখে যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতির উদ্যোগ নেই সরকারের। দু’দেশের সরকার অনুমোদিত ১০পণ্য আমদানি রফতানি অনুমতি নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বাংলাদেশি পণ্য রফতানির সুযোগ পায়নি। ভারত থেকে অনিয়মিত আসছে ২পণ্য পাথর ও কয়লা এতে এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। দুধকুমর নদে ১৮৮০সালের বৃটিশ সরকারের নির্মিত হয় সোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজ। স্থলবন্দরের এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যবসায়ীদের কয়লা ও পাথর প্রতিদিন ট্রাক যানবাহনে অতিরিক্ত কয়লা পাথরের মালামালবোঝাই রেলওয়ে সেতু দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে চলে যাচ্ছে ।
জানা যায়, সোনাহাট স্থলবন্দর রেলওয়ে ব্রিজটি বৃটিশ সরকার নির্মাণ করায় অভিভক্ত ভারতবর্ষে কলকাতাসহ পশ্চিমাঞ্চলের সাথে আসামরাজ্য সহ পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যম ছিল। ১৯৪৭সালে ভারত পাকিস্তান বিভক্তির পর রেল ব্রিজটি ব্যবহৃত বন্ধ হয়ে যায়। নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারীর ১১ ইউনিয়নের যোগাযোগ মাধ্যম এ ব্রিজটি।
১৯৭১সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনী ব্রিজ দিয়ে পারাপার হয়ে পশ্চিমদিকে আক্রমন করতে না পারে এ জন্য মুক্তিযোদ্ধারা বোমা মেরে ব্রিজটির দুটি গাডার ফেলে দেয়। স্বাধীনতার পর তিস্তা সেতুটি সচল করতে সোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজাটিতে সংযোগ দিয়ে তিস্তা সেতু সচল করে।
সরকারিভাবে সোনাহাট ব্রিজটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে চালু হয়। ব্যবসায়ী এস.এম রওশন আলম, আবু তাহের, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল বাতেন ও হারিসুল বারি রনি বলেন, ব্রিজটি ঝুকিপুর্ণ হুমকির মুখে। সকল সমস্যা সমাধন করে পুরোদমে স্থলবন্দরটি চালুর দাবি জানাচ্ছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান