সৌদি আরব যাবেন হাসিনা, আসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : অ্যারাবিক ইসলামিক আমেরিকান হিস্টোরিক্যাল সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ২১ মে সৌদি আরব যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অংশ নেবেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন বিশ্ব নেতাদের সামনে। সম্মেলনে ইরাক, মরক্কো, পাকিস্তান ও তিউনেশিয়ার রাষ্ট্র প্রধানদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারাও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানান, গত মঙ্গলবার ঢাকায় সফররত সৌদি সংস্কৃতি এবং তথ্যমন্ত্রী ড. আওয়াদ বিন-সালেহ-আল আওয়াদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সৌদি বাদশাহ্র এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছান। আল আওয়াদ এই সময় জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনে যোগদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নত করার কথা বলেন। বার্তা সংস্থা এএসপি সূত্রে জানা যায়, বাদশাহ সালমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, মরক্কোর বাদশাহ মুহাম্মদ (ষষ্ঠ), ইরাকের প্রেসিডেন্ট ড. ফুয়াদ মাসুম এবং তিউনেশিয়ান প্রেসিডেন্ট বেজি ক্যাড এসেবসিকে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন ইসলামি আরব সম্মেলনে অংশগ্রহণে আমন্ত্রণ পাঠান।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের এবং সৌদি কূটনীতিকরা বাদশাহ সালমানের এই আমন্ত্রণ বার্তা দেশগুলোর নেতাদের কাছে পৌঁছান। এছাড়াও আমন্ত্রণবার্তা প্রেরণের সময় সৌদি আরবের সঙ্গে দেশগুলোর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সৌদি মন্ত্রী আদেলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ সম্পর্কে প্রেসসচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী সৌদি মন্ত্রীকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বাংলাদেশ যে এর মোকাবিলা করছে তা নয়, এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গিবাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুটিকয়েক লোকের খারাপ কাজের জন্য সমগ্র বিশ্বে ইসলামের বদনাম হচ্ছে। সৌদি মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের কারণে গত কয়েক বছরে ইরাকে ৯ লাখ এবং সিরিয়ায় ৬ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সময় বাস্তুচ্যুত হয়েছে এই অঞ্চলের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম আল মুতায়ইরি উপস্থিত ছিলেন।