ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যানইউ
স্পোর্টস ডেস্ক : উয়েফা ইউরোপা লিগের ৪৬ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বৃহস্পতিবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সেল্টা ভিগোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেও ফাইনালের টিকিট পেয়েছেন ওয়েইন রুনিরা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে লালকার্ড দেখেছেন দুদলের দুজন খেলোয়াড়, ইউনাইটেডের এরিক বেইলি ও সেল্টার ফাকুন্দো রনকাগলিয়া। প্রথম লেগে রেড ডেভিলরা জিতেছিল ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে হোসে মরিনহোর শিষ্যদের জয়টা তাই ২-১ ব্যবধানে।
ইউনাইটেডের ঘরের মাঠে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দুদল উপহার দিয়েছে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক লড়াই। যার শেষ পরিণতিতে ড্র করেই ফাইনালে নাম লেখায় স্বাগতিকরা। তবে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত নির্ভার হতে পারেনি দলটি। কেননা যে কোন মুহূর্তে একটি গোল পেলেই ইউনাইটেডের ফাইনালে ওঠার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে পারতো স্প্যানিশ ক্লাব সেল্টা। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে। সুযোগও পেয়েছিল দলটি। ম্যাচ শেষ হওয়ার সাত সেকেন্ড আগে ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন জন গুইদেত্তি। কিন্তু মাত্র ছয় গজ দূর থেকেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি সেল্টার সুইডিশ স্ট্রাইকার।
এর আগে ম্যাচের ১৭তম মিনিটে মিডফিল্ডার মারোয়ান ফেলাইনির গোলে লিড নেয় ম্যানচেস্টার। প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক মার্কাস র?্যাসফোর্ডের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে সমর্থকদের উল্লাসে মাতান বেলজিয়ান তারকা। নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগে সমতায় ফেরে সেল্টা। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার রনকাগলিয়া মাপা হেডে পরাস্ত করেন স্বদেশী গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোকে। এর পরপরই দুদলের খেলোয়াড়রা জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে। ফলাফল হিসেবে রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান বেইলি ও রনকাগলিয়াকে।