যে কারণে নির্যাতনের শিকার মেয়েরা বিচার চায় না
ড. সাদেকা হালিম
এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা তো এই প্রথম নয়, অতীতেও এ রকম ঘটতে আমরা দেখেছি। সময়টা আমাদের জন্য সুখকর নয়। আমরা দেখছি বর্তমানে মেয়েরা চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ধর্ষিত হচ্ছে। ধর্ষণ হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম নির্যাতন। এর চেয়ে বড় নির্যাতন কি আর কিছু হতে পারে? পারে না।
বাংলাদেশে ধর্ষণের বিচার পায় মাত্র ৩ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার নারীদের বড় একটা অংশ বিচার পায় না। আমরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি। বনানীতে রেইনট্রি নামে হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছিল, আমরা জানতে পারি একমাস পর। ধর্ষণের শিকার দুটি মেয়ে অনেক সাহস করে, দ্বিধাদন্দ্ব, লজ্জা, গ্লানি, মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে বের হয়ে এসেছে। পুলিশকে জানিয়েছে। কিন্তু পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তাদের যথাযথ সহায়তা করেনি।
অভিযুক্তের তালিকায় আপন জুয়েলার্সের একজন মালিকের ছেলের নাম আছে। একজন রাজনীতিকের ছেলের যুক্ত থাকার কথাও শোনা যাচ্ছে। সত্যিই কি তাই? আমি জানি না। তবে এখানে টাকাপয়সা, বিভিন্ন ধরনের প্রভাব এবং লিংক ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা ভালো ব্যাপার হচ্ছে না। আমি মনে করি, এ ঘটনায় রাষ্ট্র এবং সরকারের দ্রুত দায়িত্ব বা ব্যবস্থা নিতে হবে।
বর্তমানে সাইবার ক্রাইম প্রচুর বেড়ে গেছে। মেয়েরা ভয়ে বিচার চায় না। এই যে মেয়ে দুটি বিচার চাইল, কিন্তু বিচার কি পাচ্ছে? তার মানে ভবিষ্যতে মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়ে আর কোনো কথা বলবে না। এবং তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অন্য কোনো পথ বেছে নিবে।
পরিচিতি: অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান