গ্রাম থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে শাড়ি
বরিশাল প্রতিনিধি : গছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। একসময় বাঙালি নারীর শাড়ি ছিলো প্রধানতম পোশাক। শাড়ি মানেই এক সৌন্দর্যের ব্যকরণ। বাঙালি নারী আর শাড়ি যেন একই মুদ্রার এ-পিঠ আর ও-পিঠ। একটা সময় ছিলো যখন বিবাহিত নারী মাত্রই শাড়ি পড়তো। শাড়ি ছাড়া বাড়ির বউ যেন একেবারেই বেমানান। ওইসময় গ্রাম বা শহরের কলেজ পড়-য়া মেয়েরাও শাড়ি পরেই কলেজে যেতো। কালের বিবর্তনে আজ শাড়িতে পরিবর্তন এসেছে। গত কয়েক বছরে শহরের মেয়েদের পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও এসে পৌঁছেছে সালোয়ার কামিজ, জিন্স টপস্, বোরখা, হিজাব, টিশার্ট প্রভৃতি। ফলে ক্রমেই কমে যাচ্ছে শাড়ির ব্যবহার। বিশেষ অনুষ্ঠানাদি ছাড়া শহর কিংবা গ্রামের নারীরা শাড়ি পরেন না বললেই চলে। গ্রামের কর্মজীবী নারীরাও এখন দশ হাতের শাড়ি ছেরে সালোয়ার কামিজ, বোরকা, হিজাব ও ম্যাক্সি পরা শুরু করেছেন। গাঁয়ের বধূরা এখন শাড়ি ছেরে সালোয়ার কামিজ ধরেছেন। বরিশালের বাবুগঞ্জের আগরপুর গ্রামে বোরো ধান শুকানোর কাজ করছিলেন কয়েকজন গৃহবধূ। তাদের কারও পরনে ম্যাক্সি আবার কারও পরণে সালোয়ার-কামিজ। আলাপনে জানা গেছে, তারা নিয়মিত সালোয়ার-কামিজ ও ম্যাক্সি পরেন। বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া তারা শাড়ি পরেন না। তাদের মতে, শাড়ির চেয়ে কম খরচে সালোয়ার কামিজ পাওয়া যায়। পরতেও আরাম। তাছাড়া শাড়ি সামলাতেও অনেক ঝামেলা। দিনভর কাজ করতে হয় তাই শাড়ি পরে কাজ করতেও তেমন সুবিধা হয়না। একারণেই তাদের তেমন একটা শাড়ি পরা হয়না। সম্পাদনা: মুরাদ হাসানধী