ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন সুশাসনের পরিপন্থী
শাকিল আহমেদ : সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় গৃহীত ব্যাংক কোম্পানি সংশোধনী আইন সুশাসনের পরিপন্থী। বিগত বছরসমূহে ব্যাংকিং খাত থেকে প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে কাঙ্খিত বিনিয়োগ হয়নি। এসব অর্থ কোথায় ব্যয় হচ্ছে ব্যাংক তা অনুসন্ধান করেনি বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম। গতকাল শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে আর্থিক খাতে সুশাসন বিষয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের জন্য ব্যাংক অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থা জোরদারকরণ, ঋণের জন্য জামানত সঠিকভাবে নির্ধারণ, জামানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ, ঋণের সঠিক ব্যবহারের ওপর যথাযথ পরিবীক্ষণ ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরী বলে মনে করেন সাবেক এই উপদেষ্টা।
ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম আরো বলেন, অর্থঋণ আদালতে দায়েরকৃত মামলাসমূহ নিস্পত্তির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। ভ্যাট-এর হার নির্ধারণে সাম্যতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখা উচিত। প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের ভ্যাট-হার বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে এটি ১০ শতাংশ হওয়াই যুক্তিযুক্ত বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। আগামী জাতীয় বাজেট প্রসঙ্গে ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন বাজেট বাস্তবায়ন ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা উচিত। তা না হলে এটি কাগুজে বাজেট হিসেবে পরিগণিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, আমলা ও অসাধু ব্যবসায়িরা কালো টাকার পাহাড় তৈরি করছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগে মন্দাসহ নানা কারণে এইসব অর্থ তারা বিদেশে পাচার করছে। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী এক কোটিরও বেশি অভিবাসী প্রতি বছর ১৪ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠাচ্ছে। আর দুর্নীতিবাজরা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে সেকেন্ড হোম ও বেগম পল্লী তৈরি করছে। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যর নামে দেশের টাকা পাচার করা হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি ক্রমশ রক্তশূন্য হয়ে পড়বে। প্রতিযোগিতায় আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে হারিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিতদের ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, অধ্যাপক আবু রইস এবং তানভির সিদ্দিকী।