অন্যের জন্য আপনি কেন অবৈধ কাজটি করবেন?
রহমান শেলী
আইনে আছে, ট্যাক্স দিতে হবে। ট্যাক্স যেন না দিতে হয়, তাই অভিনব বুদ্ধি কাজে লাগানো। মনিরুজ্জামান মানিক প্রতিমাসে একবার করে এয়ারপোর্টে আসেন। এসে বিভিন্নজনের কাছ থেকে স্বর্ণের অলংকার সংগ্রহ করেন। যেহেতু আইনে আছে ১০০ গ্রামের একই রকমের ১২টি চেইন আনা যাবে। সেই সুযোগ সে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন যাত্রী দিয়ে অলংকার এনে থাকেন। এবার দেখতে হবে ইনটেনশন কী? ইনটেনশন হলো, মানিক ব্যবসা করেন। ট্যাক্স আইনের ফাঁক খুঁজে সুকৌশলে ব্যবসা করেন। এখন সে আইনের আওতায় আসবে, এটাই স্বাভাবিক। তার কাছে ২৯৯.৫০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। আর যাত্রী ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তা বহন করেন। বি.দ্র. যাত্রী ১২টি একই রকম ১০০ গ্রাম অলংকার বহন করা অপরাধ নয়। অপরাধ হলো, ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বহন করা এবং তার গ্রহীতার কাছে আরও ২৪টি পাওয়া। আর গ্রহীতা যেহেতু প্রতিমাসে একবার করে এসে কয়েকজনের কাছ থেকে তা সংগ্রহ করে ব্যবসা করেন, সেহেতু সেও অপরাধ করেছেন।
প্রিয় যাত্রীগণ, আপনারা বিদেশে অনেক কষ্ট করেন। দেশের উন্নয়েন রেমিটেন্স আনেন। আপনাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে। কিন্তু আপনারা সারাবছর কষ্ট করে মাত্র কয়েকটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে জিনিসপত্র এনে পুলিশের হাতে আটক হোন, এটা আমাদের কাম্য নেই। তা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ থাকল। আপনাদের সেবায় আমরা আছি।
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও এডিশনাল এসপি
ডিউটি এএসপি : ০১৭৬৯৬৯০৭৪৫. এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ, ঢাকা।
সম্পাদনা: আশিক রহমান