ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ম্যাক্রোঁকে হেনস্তা
ডেস্ক রিপোর্ট : সবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। মারিন ল্য পেনের মতো জনপ্রিয় প্রার্থী থাকতেও ‘আনকোরা’ ম্যাক্রঁকেই দেশের সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছেন ফরাসিরা। কিন্তু তার ঐতিহাসিক জয় নিয়ে যত না কথা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি কথা হচ্ছে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। না আগের প্রেসিডেন্টদের মতো কেচ্ছা নেই তার। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দিব্যি সুখে সংসার করছেন। কিন্তু স্ত্রী-র সঙ্গে তার বয়সের ফারাকই নাকি বিরোধীদের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদমাধ্যমও তার ফায়দা তুলছে। সম্প্রতি টুইটারে ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে বসেন রিপাবলিকান পার্টির হাকোয়েন জোমার্জ। লেখেন, ‘নতুন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে দেশ। যিনি কিনা আগের জনের প্রতিমূর্তি। আগের জন মেয়ের বয়সী মহিলার সঙ্গে থাকতেন, আর ইনি মায়ের বয়সী মহিলার সঙ্গে থাকেন। এইটুকইই যা তফাত।’ ম্যাক্রোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিত ত্রগনিউকে ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছে শার্লি এবদো পত্রিকাও। তাতে গর্ভবতী ব্রিজিতের পেটের ওপর হাত রেখে দাঁড়িয়ে ৩৯ বছরের ম্যাক্রোঁ। ওপরে লেখা, ‘উনি মিরাকল ঘটিয়েই ছাড়বেন।’ বিভাজনের শিকার ফ্রান্সকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনবেন বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন ম্যাক্রোঁ। এদিকে ৬৪ বছর বয়সী ব্রিজিতের সঙ্গে তার সন্তান হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। দুটি ‘অসম্ভব’-কে ফুটিয়ে তুলতেই ওই ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয়েছে। তবে এতে একটুও দমে যাননি ম্যাক্রোঁ। জনপ্রিয় ‘লে পারিসিয়েঁ’ সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরং সমালোচকদেরই নারীবিদ্বেষী বলে তুলোধুনা করেছেন। বলেছেন, ‘আমি যদি ব্রিজিতের থেকে ২০ বছরের বড় হতাম তাহলে কেউ টুঁ শব্দটিও করতেন না। আমার যৌন ক্ষমতা নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করতেন না। কিন্তু যেহেতু আমার স্ত্রী বয়সে বড়, তাই এত বিতর্ক। কোনওমতেই আমাদের সম্পর্ক টিকবেনা বলে এদিক ওদিক থেকে খবর ভেসে আসছে।’ ব্রিজিতের আগের পক্ষের মেয়ে টিফানি ওজিয়েরঁও সৎ বাবা ম্যাক্রোঁর পক্ষ নিয়েছেন।
৩২ বছর বয়সী টিফানির দাবি, ‘২১ শতকের ফ্রান্সে এই ধরনের মন্তব্য শুনতে হবে ভাবিনি। যত দোষই থাকুক না কেন, পুরুষ রাজনীতিকদের নিয়ে কিন্তু কেউ নিন্দে মন্দ করেন না। আসলে মায়ের সাফল্য মেনে নিতে পারছে না কেউ। হিংসে থেকেই ভুলভাল মন্তব্য করছে। তবে এতে কিছু যায় আসে না। মায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনেক লোকজনকেই চিনি।’ সূত্র : আজকাল, সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ