নিরাপদ কর্মপরিবেশের জন্য কোঅর্ডিনেশন সেল উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গার্মেন্টস শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিঃশ্চিত করণে কারখানাগুলোর সংস্কার কাজ সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে গঠিত রেমেডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেল আরসিসি এর উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে আরসিসি এর উদ্বোধন করেন।
আরসিসি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন ২০১৮ সালের পরে গার্মেন্টস শিল্পের কারখানা পরিদর্শনের কাজে একোর্ড এবং এলায়েন্সের প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন একোর্ড এবং এলায়েন্সের আলাদাভাবে কাজ না করে আইএলও সমর্থিত বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল ইনিসিয়েটিভ এর সাথে কাজ করলে রেমিডিয়েশনের কাজ সজতর হবে। তিনি একোর্ড এবং এলায়েন্স-কে আরসিসি এর অর্ন্তভূক্ত হবারও আহব্বান জানান। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের সংস্কার কাজ তরান্বিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য গার্মেন্টস পন্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। এ বিষয়ে বায়ারদের এগিয়ে আসতে হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আয়োজিত আরসিসি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রনালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোইট পিয়েরে লারামি, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিস লিওনী মার্গারেটা কুয়েলি নেয়ার, বাংলাদেশ ইমপ্লায়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আলাউদ্দিন কাশেম খান, বিজিএমইএ এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আসলাম সানি। ইন্ডাষ্ট্রিয়ল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, এন.সি.সি.ডবলু.ই এর সদস্য সচিব চৌধুরী আশিকুল আলম এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভূঁইয়া বক্তৃতা করেণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে আরসিসি ১২৯৩টি কারখানা নিয়ে কাজ করবে। তবে নতুন কারখানা স্থাপিত হলে ন্যাশনাল ইনেশিয়েটিভ এর অর্ন্তভূক্ত হবে। আরসিসি এর উদ্দেশ্য হলো কারখানার নিরাপত্তা পরিদর্শন এবং লাইসেনিং এর জন্য দীর্ঘ মেয়াদী সমন্বিত পদ্ধতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করা।