আফগানিস্তান, ইরান, পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা
ইমরুল শাহেদ : শুক্রবার আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তের খুররম এলাকায় একটি বড় সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তারক্ষীরা। সহাকারী রাজনৈতিক এজেন্ট শাহিদ আলী খান বলেছেন, বিস্ফোরকবাহী একটি গাড়িতে গুলি চালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়। গাড়িটি আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশ থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করছিল। নিরাপত্তা বাহিনী গাড়িটি নজরে আসার পর থেকেই বিস্ফোরকবাহী গাড়ি বলে সন্দেহ করছিল এবং তাদের সন্দেহ সঠিক হয়েছে।
এভাবে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করছে আত্মঘাতী ও সন্ত্রাসীদের রসদ। আফগানিস্তানের কারণে পাকিস্তানকে এবং পাকিস্তানের কারণে ইরানকে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে হচ্ছে প্রায়ই। কিছুদিন আগে ইরান বলেছিল, যদি পাকিস্তান থেকে বারবারই ইরান সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলা চলতে থাকে তাহলে ভারতের মতো তারাও পাকিস্তানে সারজিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে বাধ্য হবে। এই পরিস্থিতিতেই গত দুই দিনে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের বার্তা সংস্থা ডন অনলাইন জানিয়েছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নয়নে কী কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় এবং সহযোগিতা ও সমন্বয় কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আফগান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিজিএমও মেজর জেনারেল হাবিব হেসারি এবং পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিজিএমও মেজর জেনারেল শাহীর শামসাদ মির্জা। পাকিস্তান সেনা বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চামন দুর্ঘটনা, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে হামলা-পাল্ট হামলা কমাতে কী কী করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
কিন্তু এই আলোচনা বৈঠক কখন, কোথায় হয়েছে তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। পক্ষান্তরে পাকিস্তান ও ইরানের কর্মকর্তারা শুক্রবার সকালে পাকিস্তানের সীমান্ত শহর তাফতানে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি এড়াতে পারস্পরিক সহযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। এ শহর থেকে ইরানে প্রবেশ করা যায় এবং পাকিস্তান ইরানের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, কর্মকর্তারা ইরান সীমান্তের যেখানে সন্ত্রাসী ও ইরানি সেনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, সে স্থানটি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন। এই সংঘর্ষে ১০ জন ইরানি সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র : ডন