রেমিটেন্স ও রপ্তানি হ্রাসে লক্ষ্য অর্জন হবে না প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক
জাফর আহমদ : চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি হ্রাস এবং রেমিটেন্স কমে আসার কারণে লক্ষ্য অর্জন হবে না বলে উল্লেখ করা হয় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথ্ াবলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান, লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, সিনিয়র ডিরেক্টর কার্লোস ফিলিপে হ্যারমিলো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামীতে অর্থনীতিতে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আর্থিক খাতের অস্থিতিশীলতা, আর্থিক খাতের সংস্কার ও ২০১৯ সালের নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। বাহ্যিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, আমেরিকা ও ইউরোপীয় অঞ্চলে বাণিজ্যনীতি নিয়ে অনিশ্চিত, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কঠোরতা।
আগের বছর রেমিটেন্স কমেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এ বছর কমেছে ১৬ শত্ংাশ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের রেমিটেন্স কমে যাওয়ার বিষয়টি শুধু মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দাম কমে যাওয়ার কারণে-এমন নয়। সার্বিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও অর্থপাচার নিয়ে বিশ্বজুড়ে নেতিবাচক প্রচারের কারণে আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার কোম্পানিগুলো ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রেমিটেন্সে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স কমে আসার বিষয়টি তাই প্রমাণ করে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, নারীর কর্মে নিয়োজিতের হার বৃদ্ধি ও দেশিও সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাদেশের কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে। এর মধ্যে শুধু নারীর কর্মে নিয়োজিতের হার ৪৫ শতাংশে উন্নীত করার মাধ্যমে এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি করা সম্ভব। বর্তমানে দেশে নারীর কর্মে নিয়োজিত হার সাড়ে ৩৩ শতাংশ এবং কর্মে নিয়োজিত পুরুষের হার ৮১ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নারীর কর্মে নিয়োজিতের আশাব্যঞ্জক হার প্রমাণ করে আগামীতে তারা অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হবে।
গত বছরে সুদ হার হ্রাস ব্যাংকিং খাতের তারল্য কমাতে পারেনি। এক বছর আগে এক লাখ কোটি টাকা তারল্য ছিল এখনও সেখানেই রয়ে গেছে। যদিও আমানতে যে হারে সুদ কমেছে ঋণ বিতরণে সে হারে কমেনি। বাজেট বাস্তবায়নে সরকার বেশি সুদের সঞ্চয়পত্র থেকে অর্থ নিয়ে কম সুদের ব্যাংক ঋণ শোধ করেছে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।