ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজনৈতিক দলগুলোকে কর্মসূচি দিতে হবে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : ধর্ষণ এখন একটি রোগে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দেশে একাধিক শিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলো চুপ। শুধু ক্ষমতায় আর ভোটের জন্য রাজনীতি করে দলগুলো। এ পর্যন্ত আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে দেখিনি ধর্ষকদের বিচারের দাবি জানাতে। বরং প্রভাবশালী মহলকে দেখা গেছে ধর্ষকদের বাঁচাতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে।
মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা রাজনৈতিক দলগুলোকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার দাবি জানান। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেছেন, নারী নির্যাতনকে কেন রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্ব দিচ্ছে না এটা আমার বোধগম্য নয়। দলগুলোর অবশ্যই এখন নারী নির্যাতনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। যতদিন পর্যন্ত এটাকে জাতীয় ইস্যু করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এখানে ধর্ষণ করবে না।
নারী নেত্রী খুশী কবীর বলেন, ইভটিজিং এবং নারী নির্যাতন এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসমস্যার সমাধান করতে হলে আমাদের রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি দেখতে হবে। কারণ বড় রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কমিটি রয়েছে। তারা যদি নারী নির্যাতনকে রাজনৈতিক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করে তাহলে অবশ্যই তৃণমূলে সহিংসতা কমবে। কিন্তু আমরা দেখছি, দেশে যতোই নারী নির্যাতন হচ্ছে তাতেও রাজনৈতিক দলগুলোর কোনোই মাথা ব্যথা নেই। তাদের মূল কাজ হলো কিভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে?
সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ যেভাবে সব শ্রেণিতে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত। তারা কেন এ বিষয়ে চুপ এটা এখনো বুঝতে পারছি না। সম্পাদনা : জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না