‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দুর্নীতি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে’
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দুর্নীতি প্রতিরোধে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তবে প্রতিবেদন হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ, নির্মোহ এবং তথ্যবহুল। গতকাল রোববার বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘দুর্নীতি ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ইন্ডিপেন্ডেট টেলিভিশনের রিশাদ হুদা ও আরো অনেকে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন বিভিন্ন উৎস থেকে দুর্নীতির হাজারো অভিযোগ পায়। এ সকল অভিযোগের প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ ভাগই কমিশন আইনের তফসিল বহির্ভূত অথবা প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তবিহীন। তাই ধারণার ওপর ভিত্তি করে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে না কমিশন। প্রতিটি অভিযোগ কমিশনকে আদালতে প্রমাণ করতে হয়।
তিনি বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রস্তুত কিংবা প্রচার বা প্রকাশ করা ঝুঁকিপূর্ণ এটা সত্য। তবে আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে, তৃতীয় বিশে^র প্রতিটি মানুষের জীবনের সকল স্তরই ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ^ায়ন এবং তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে রাষ্ট্রসহ সমাজের প্রতিটি বিষয়ই উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। কোনোকিছুই গোপন করার সুযোগ নেই।
ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন, দুর্নীতিপরায়ণরা নৈতিকভাবে দুর্বল। তাই সাংবাদিকদের নৈতিক মূল্যবোধ যত উন্নত হবে দুর্নীতিপরায়ণরা ততই অবনমিত হবে। আমি আশাবাদী মানুষ। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, আমার বিশ^াস দেশের দুর্নীতি কমবেই। তবে দুদকের একার পক্ষে এ কাজ সম্ভব নয়। প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে যদি কোনো ত্রুটি থাকে, তাহলে সাংবাদিকরা নিঃসংকোচে লিখতে পারবেন। দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো মরুদ্যান নয়।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, আজকের এই সেমিনার প্রেস কাউন্সিলের ইতিহাসে প্রথম সেমিনার। প্রেস কাউন্সিল হচ্ছে সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান কিন্তু সাংবাদিকরা এখানে আসতে চান না। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তসহ যে সকল কল্যাণমূলক কাজ প্রেস কাউন্সিল করতে পারে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে কাউন্সিল।