লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ফেরতের জন্য দুই এসআইয়ের তদবির
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : আটকের পর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ফেরতের জন্য তদবির করছে যাত্রাবাড়ী থানার দুই দারোগা। এ নিয়ে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি আটক বাণিজ্যেরও অভিযোগ উঠেছে থানার এসআই আশিষ কুমার দেব ও এসআই নয়নের বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন উত্তর যাত্রবাড়ীর সুতিখালপাড়ের বাসিন্দা পান্না আক্তার বুবলি। তিনি জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের বাড়ির তিনতলায় পারভেজ নামের এক ভাড়াটিয়াকে বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দেয়ার পরও না চলে যাওয়ায় বাড়িওয়ালা আমিনুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিত-া হয়। এক পর্যায়ে পারভেজ যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আমষি কুমার দেব তাদের বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে বাসা ছাড়া হবেনা বলে নানা ভয়ভীতি দেখান। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ডাকলে তাদের উপস্থিতিতে এসআই আশীষ ক্ষমা চেয়ে বিদায় নেন। পরে গত ২ মার্চ এসআই নয়ন নামের আরেক দারোগা এসেও একই ঘটনা ঘটায়। এবং বাড়িওয়ালা আমনুলকে টেনে হিছড়ে জোর করে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। কেন মারধর করা হচ্ছে কেন আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে বাসার লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন এসআই নয়ন। পাশাপাশি বিভিন্ন মামলায় ঢুকানোর ভয়ভীতি দেখায়। থানায় নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়ার শর্তে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে নগদ ১ লাখ ১০ টাকা দিয়ে ছাড়া পান আমিনুল।
পান্না আরও বলেন, তাদের তিনতলার ভাড়াটিয়া পারভেজকে উচ্ছেদের জন্য আবারও থানায় ডায়েরি করেন আমিনুল। থানা থেকে বাসায় ফেরার পথে এসআই আশীষ কুমার দেব আবারও তাকে আটক করে।
পরে থানায় বসেই এসআই এনায়েতের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি মেলে অমিনুলের।
এদিকে এ বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত উপ কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদের সরনাপন্ন হলে তিনি ওই এসআইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে এসআই নয়ন স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার আবুল কালাম নুরের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ফেরতের জন্য তদবির করেন। অন্যদিকে আমিনুলের বিরুদ্ধে এর আগে একটি মাদক মামলা করেন এসআই আমীষ কুমার দেব। ওই মামলা সম্পর্কে জানতেননা পরিবারের কেউ। এ ব্যাপারে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা ও ওই দারোগার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান পান্না।