আখাউড়া দিয়ে মাছ রপ্তানিতে নতুন জটিলতা
নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:কোড সংক্রান্ত নতুন জটিলতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি শুরু হতে দেরি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার থেকে মাছ রপ্তানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোড সমস্যা সমাধান না হওয়ায় তা দু’একদিন পিছিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের মাছে ফরমালিন আছে এমন অভিযোগে গত ৬ মার্চ থেকে আমদানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা প্রতিদিনকার মাছ থেকে নমুনা রেখে হিমায়িত (ফ্রিজআপ) করে ফরমালিন পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হবে এবং তাতে ফরমালিন পেলে ফের আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে এমন শর্তে রপ্তানি শুরুর সম্ভাবনা দেখা দেয়। আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আব্বাস উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মাছ রপ্তানিতে ভারতের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তিপত্রে মাছের যে কোড নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। চুক্তিপত্রে কোড নম্বর ঠিক করে দু’একদিনের মধ্যেই মাছ রপ্তানি শুরু করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে একটি কোড ব্যবহার করতে হয়। দু’দেশের ব্যবসায়িরা রপ্তানি সংক্রান্ত যে চুক্তি করেছে তাতে ’সি ফিস’ (সামুদ্রিক মাছ) এর কোড লেখা আছে বলে জেনেছি। কিন্তু এ কোডের মাধ্যমে সব ধরণের মাছ রপ্তানি সম্ভব নয়। অবশ্য শুল্ক আইন অনুসারে পণ্যের বিবরণ সঠিক থাকলে কোড ভুল না হলে সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে শুল্কের কোনো তারতম্য হয় কি-না তা খেয়াল রাখতে হবে। এ অব¯’ায় ভারতীয় চাইলে আমাদের দেয়া কোড অনুযায়ীই মাছ নিতে পারে। যদিও আমাদের এখান থেকে সঠিক কোডেই মাছ পাঠাতে হবে। দু’দেশের ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জেনেছি। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান