প্রেমের টানে থাইল্যান্ডের মেয়ে নওগাঁয়
আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ : সাত সমুদ্র তেরো নদী পারি দিয়ে প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেস থাইল্যান্ডের মেয়ে সুপুত্তো ওরফে ওম (৩৬) (বর্তমানে সুফিয়া খাতুন)। ভালবেসে বিয়েও করেছেন বাংলাদেশের সেল ফোন মেরামতকারী অনিক খান (২৩) নামের এক যুবককে। বুধবার বিকভলে নাটোর আদালত চত্বরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। অনিক খানের বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের আমজাদ খানের ছেলে। শাহাগোলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য নূরুর নাহান জানান, বিয়েরপর অনিক খানের খালার বাড়ি নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোপালপুরের চামটা গ্রামে নব বর ও বধু রয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার বিকেলে আদালত চত্ত্বরে সুপুত্তো ওরফে ওম ওরফে সুফিয়া খাতুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমাদের সমাজে বহু বিবাহ একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি এটা পছন্দ করি না। তাই বিয়ে করছিলাম না। হঠাৎ করে ফেসবুকে বাংলাদেশের অনিকের সাথে পরিচয় হয়। ওর সরলতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ধীরে ধীরে ওর প্রতি আমার আস্থা জন্মেছে। আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। ওকে শুধু আমার করে নেওয়ার জন্য বার বার এ দেশে ছুটে এসেছি। এবার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি এখন দারুণ সুখি।ওম জানান, তাঁর বাড়ি থাইল্যান্ডের চো-অম জেলার পিচচোবড়ি এলাকায়। বাবা উইছাই ও মা নট্টাফ্রন। দু’জনই আলাদা থাকেন ভিন্ন ভিন্ন দেশে। তিনি পড়ালেখা শেষ করে প্রথমে ব্যাংকে চাকরি করতেন। বর্তমানে ফাস্টফুডের ব্যবসা করেন। বয়স প্রায় ৩৬ বছরে দাঁড়িয়েছে।দোকানে বসে ফেসবুক ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে বাংলাদেশের ২২ বছরের তরুণ অনিক খানকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠান। অনিক প্রস্তাব সমর্থন করলে তাদের মধ্যে চেনাজানা শুরু হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবা-মার অনুমতি নিয়ে দেশের সীমানা পেরিয়ে বন্ধুর টানে ছুটে আসেন বাংলাদেশে। বিমানবন্দরে অনিককে দেখে তাঁকে ওঁর আরও ভালো লাগে। অনিকের পরিবারের সাথে দেখা করে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মাত্র পাঁচ দিনের ভিসা নিয়ে আসায় তড়িঘড়ি করে পুনরায় দেশে ফিরে যান। বলে যান, ছয় মাস পর আবার আসবেন। এ মাসের প্রথমদিকে তিনি আবারও অনিকের কাছে ছুটে এসেছেন। বিয়ে করার জন্য অনিকের পরিবারের সদস্যদের হাতে-পায়ে ধরেছেন। দিনের পর দিন কান্নাকাটি করেছেন। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান