জাল সনদে চাকরি করছেন ৫ শতাধিক শিক্ষক
তারিক ইমন : সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষক জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবে শিক্ষকতা করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে। দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
ডিআইএর তথ্য অনুযায়ী জাল সনদ ব্যবহাকারী এক শিক্ষিকাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সনদটা আমি দেইনি। কমিটির লোকজন আমাদের পরিচিত ছিলো। তারা এই সনদটি ম্যানেজ করে দিয়েছে। জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে চলমান তদন্তে সারাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৩১ জন শিক্ষকের সনদ জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর বাইরেও প্রাথমিকভাবে আরও ১২৬ জনের জাল সনদ চিহ্নিত হয়েছে। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর যুগ্ন পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, ৫৩০ এর অধিক আমরা চিহ্নিত করেছি। আরো ১৫০ চিহ্নিত করেছি কিন্তু সেটা সনদ জালিয়াতির প্রক্রিয়ায় আছে।
অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চিহ্নিত হওয়া এসব শিক্ষকদের মধ্যে ৩৪০ জনই চাকরি নেয়ার সময় জমা দিয়েছেন ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ। এছাড়া কম্পিউটার ও সাচিবিক বিদ্যার ভূয়া সনদ দিয়েছেন ১৫১ জন এবং অন্যান্য জাল সনদ দিয়েছেন ৪০ জন। এমন তথ্যে নড়ে চড়ে বসে দুর্নীতি দমন কমিশন। ভুয়া সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ জোগাড়ে তারা মাঠে। দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সারাদেশে এধরনের একটা দুর্নীতি ঘটেছে তাই দেশব্যাপী আমাদের অনুসন্ধান কাজ ও চলছে।
দুদকের হিসাব অনুযায়ী জাল সনদধারী এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রায় ১৯ কোটি টাকা। এই অর্থ ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।