গ্রেফতার হলেন ‘রিভলভার রানি’
ডেস্ক রিপোর্ট : মঙ্গলবার রাতে যাঁর কা-কারখানা দেখে থ হয়ে গিয়েছিল হামিরপুর। এমনকী, বহু দুঁদে পুলিশ অফিসারও যাঁর দাপট দেখে তারিফ করতে বাধ্য হয়েছেন। যাঁর কা-কারখানা হার মানিয়েছে বলিউডি ছবির চিত্রনাট্যকেও। আনন্দবাজার
এই কা-ের পরে বহু তল্লাশিতে খোঁজ মেলে সেই তরুণীর। বুন্দেলখ- পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাকে। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি তার প্রেমিকের। এ দিন থানায় ছাইরঙা সালোয়ার-কুর্তায় বসে থাকতে দেখা গেল বছর পঁচিশের বর্ষা সাহু নামে ওই তরুণীকে। পুলিশি জেরার মুখে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ‘রিভলভার রানি’ তথা বর্ষা। এমনকী, তার দাবি, বন্দুক নিয়ে যাওয়া তো দূর অস্ত্, প্রেমিককে অপহরণ করেননি তিনি। প্রেমিকই স্বেচ্ছায় পালিয়েছিলেন। কাজের সূত্রে তার সঙ্গে পরিচয় ও আলাপ অশোক যাদবের। এর পর প্রেম। কিন্তু হামিরপুরের ভারতী যাদবের সঙ্গে অশোকের বিয়ে ঠিক করেন তার বাড়ির লোকজন। বাড়ির চাপে পড়ে বিয়েতে রাজিও হয়েছিলেন অশোক। আর বর্ষার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। কিন্তু ছাড়ার পাত্রী নন বর্ষাও। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তিনি একেবারে বিয়ের ম-পে হাজির হয়েছিলেন। সটান প্রেমিকের সামনে গিয়ে তার কপালে রিভলভার ঠেকিয়ে এক্কেবারে ফিল্মি কায়দায় বলেছিলেন, ‘আমাকে ভালবেসে তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করবে? এটা আমি মেনে নিতে পারব না।’ এর পরেই প্রেমিককে তুলে নিয়ে পালিয়েছিলেন।
পুলিশে খবর দেওয়া হলে তদন্তে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। অশোক-বর্ষার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ওরা দু’জন গোপনে বিয়েও সেরেছিল। বরের বাবাও স্বীকার করেছেন, কিছু গন্ডগোল তো ছিলই। কারণ কর্মসূত্রে তার ছেলে যে বাড়িতে থাকত, সেখানে কখনও তাকে নিয়ে যেত না। সম্পানা : ইমরুল শাহেদ