গণতন্ত্রে পচন ধরেছে : রজনীকান্ত
ডেস্ক রিপোর্ট : গণতন্ত্রে পচন ধরেছে, গণতন্ত্র পরিবর্তন হওয়া দরকার। জানালেন থালাইভা রজনীকান্ত। ভক্তদের উদ্দেশ্যে থালাইভা রজনীকান্ত শুক্রবার জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে করা নেতিবাচক মন্তব্যকে দেখে ভক্তরা যেন কিছু মনে না করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সভ্যতা বজায় রাখাই হল রজনীকান্ত ভক্তদের আসল চরিত্র। এ সপ্তাহের গোড়ায় বিজেপি নেতা পন রাধাকৃষ্ণন তাকে দলে আমন্ত্রণ জানানোর পর হঠাৎই ভক্তদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেছেন থালাইভা। প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে, তবে কি রাজনীতিতে আসছেন তিনি? জবাবে রজনীকান্ত বলেন, ‘ভগবান চাইলে কালই রাজনীতিতে আসতে পারি।’ রজনীকান্ত তার সমগ্র তামিলনাড়ুর ভক্তদের সঙ্গে চেন্নাইয়ে পঞ্চম এবং শেষদিনের সম্মেলনে বলেন, ‘বাড়ি গিয়ে নিজের কাজ করুন। যেদিন যুদ্ধে লড়তে হবে সেদিনটা আমরা দেখে নেব।’ আজকাল
ডিএমকে কার্যসভাপতি এম ক স্ট্যালিন, পিএমকের তরুণ নেতা অনবুমাণি রামাদস, ভিসিকের মুখ্য থোল-এর মত যোগ্য নেতারা যেখানে তামিলনাড়ুতে রয়েছেন, তাও রজনীকান্তের মতে তামিলনাড়ুর গণতন্ত্র পচে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তামিলনাড়ুতে বহু যোগ্য ও শিক্ষিত নেতারা রয়েছেন যারা রাজ্যের অগ্রগতিতে পূর্ণ সহায়তা করছেন। কিন্তু তাও রাজ্যের আইন-প্রশাসন ব্যবস্থায় পচন ধরেছে, গণতন্ত্রে পচন ধরেছে। গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করেই মানুষের মধ্যে পরিবর্তন এসেছিল। গণতন্ত্র সম্পর্কে জনগণের ধারণার পরিবর্তন প্রয়োজন।’
রজনীকান্ত তামিল বংশোদ্ভুত নন এবং তার রাজনীতিতে আসা নিয়ে নিন্দুকদের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে থালাইভা বলেন, ‘আমি শুদ্ধ তামিল। আমার তামিল না হওয়া নিয়ে যে প্রশ্নগুলি উঠছে সে বিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে বলি, আমি ২৩ বছর কর্নাটকে কাটিয়েছি। ৪৪ বছর কাটিয়েছি তামিলনাড়ুতে। আমি এখানে মারাঠি বা কন্নর যে জাতিরই হই না কেন তামিলনাড়ুর মানুষ আমায় সমর্থন করবেন, আমায় তাদের সব দিয়ে দেবেন। তামিলনাড়ুর মানুষের অদম্য সমর্থনই আমায় তামিল করে তুলেছে। তাই আমি শুদ্ধ তামিল। আমার পূর্বপুরুষেরা কৃষ্ণাগিরি জেলার।’ তিনি আরও জানান, তামিলনাড়ু ত্যাগ করতে যদি তাকে কেউ বলেন তবে তিনি অন্য কোনও রাজ্যে চলে যাওয়ার চেয়ে হিমালয়ে যাওয়া পছন্দ করবেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ